রাজশাহী-মুর্শিদাবাদ নৌপথ উদ্বোধন আজ

রাজশাহী-মুর্শিদাবাদ আন্তর্জাতিক নৌপথ পরীক্ষামূলকভাবে চালু হচ্ছে।

রাজশাহী-মুর্শিদাবাদ নৌপথ উদ্বোধন আজ

অনলাইন ডেস্ক

রাজশাহী-মুর্শিদাবাদ আন্তর্জাতিক নৌপথ পরীক্ষামূলকভাবে চালু হচ্ছে। সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ ও ভারতের নৌমন্ত্রী যৌথভাবে এই পথ উদ্বোধন করবেন। ১৯৬৫ সালের আগে ভারতের মুর্শিদাবাদের সাগরদীঘির ময়াবন্দর থেকে রাজশাহীর গোদাগাড়ীর সুলতানগঞ্জ পর্যন্ত নৌপথে পণ্য পরিবহন করা হতো। এখন দুই দেশের নৌ প্রটোকলের আওতায় এই পথ আবার চালু হচ্ছে।

এই নৌপথের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভারতের ময়াবন্দরে উপস্থিত থাকবেন সে দেশের নৌপরিবহনমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর। আর গোদাগাড়ীর সুলতানগঞ্জ নৌবন্দরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন বাংলাদেশের নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এবং ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা প্রমুখ।  

বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে স্বাক্ষরিত অভ্যন্তরীণ নৌপথ অতিক্রমণ ও বাণিজ্য প্রটোকলটি (পিআইডাব্লিউ টিঅ্যান্ডটি) ১৯৭২ সাল থেকে নিরবচ্ছিন্নভাবে চলমান রয়েছে। ২০২০ সালে পিআইডাব্লিউ টিঅ্যান্ডটি দ্বিতীয় সংশোধনী সই হয়েছে।

আরও পড়ুন: মুজিব-ইন্দিরা চুক্তি অনুযায়ী চালু হচ্ছে সুলতানগঞ্জ-ময়া নৌবন্দর

সংশোধনীর মাধ্যমে পিআইডাব্লিউ টিঅ্যান্ডটির ৫ ও ৬ নম্বর রুটটি রাজশাহী থেকে আরিচা পর্যন্ত বর্ধিত করায় সম্পূর্ণ রুটটি হলো আরিচা-রাজশাহী-গোদাগাড়ী-সুলতানগঞ্জ-মায়া-ধুলিয়ান। বাংলাদেশ অংশে রাজশাহী ও গোদাগাড়ী বা সুলতানগঞ্জ এবং ভারতীয় অংশে মায়া ও ধুলিয়ানকে নতুনভাবে পোর্ট অব কল হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। ৫ ও ৬ প্রটোকল রুটটি পদ্মা নদীর আরিচায় এসে প্রটোকল রুট ১ ও ২ নম্বরের (কলকাতা-কোলাঘাট-হলদিয়া-রায়মঙ্গল-চালনা-খুলনা-মোংলা-কাউখালী-হিজলা-চাঁদপুর-নারায়ণগঞ্জ-পানগাঁও-আরিচা-সিরাজগঞ্জ-বাহাদুরাবাদ-চিলমারী-ধুবরী-যোগীগোপা-পাণ্ডু-শীলঘাট) এবং প্রটোকল রুট ৭ ও ৮ নম্বরের (বদরপুর-কালীগঞ্জ-জকিগঞ্জ-ফেঞ্চুগঞ্জ-শেরপুর-মাজুলী-আজমিরীগঞ্জ-আশুগঞ্জ-ভৈরববাজার-ঘোড়াশাল-নারায়ণগঞ্জ-পানগাঁও-চাঁদপুর-আরিচা-সিরাজগঞ্জ-বাহাদুরাবাদ-চিলমারী-ধুবরী-যোগীগোপা-পাণ্ডু-শীলঘাট) সঙ্গে যুক্ত হয়েছে।  

নৌপথে আরিচা-রাজশাহীর দূরত্ব ১৭৫ কিলোমিটার। রাজশাহী-গোদাগাড়ী বা সুলতানগঞ্জ ৩৬ কিলোমিটার, গোদাগাড়ী বা সুলতানগঞ্জ-মায়া ২০ কিলোমিটার এবং মায়া-ধুলিয়ান ৪১ কিলোমিটার। ২৭২ কিলোমিটার দীর্ঘ পুরো প্রটোকল রুটটি চালু করা সম্ভব হলেই এর উপযোগিতা পাওয়া যাবে।

তবে পদ্মা নদীর পুরো রুটটিতে শুষ্ক মৌসুমে নাব্যতা চ্যালেঞ্জ থাকলেও মাত্র ২০ কিলোমিটার দূরত্বের সুলতানগঞ্জ-মায়া প্রটোকল রুটে সারা বছরই স্বল্প নাব্যতার নৌযান দ্বারা উভয় দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য পরিচালনা করা সম্ভব হবে।

news24bd.tv/DHL