জমি কিনে ফেলে রাখলে বাড়তি কর আরোপের প্রস্তাব পিআরআই'র

পতিত জমি। ছবি: সংগৃহীত

জমি কিনে ফেলে রাখলে বাড়তি কর আরোপের প্রস্তাব পিআরআই'র

অনলাইন ডেস্ক

দেশের মধ্যে কেউ জমি কিনে সেই জমিতে কোনো স্থাপনা তৈরি না করে বা ব্যবহার না করে ফেলে রাখলে তার ওপর বাড়তি কর আরোপের জন্য এনবিআরকে বিবেচনা করার প্রস্তাব দিয়েছে পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট (পিআরআই)।

রোববার (২৮ এপ্রিল) ইন্সটিটিউট অব চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেস (আইসিএবি) আয়োজিত এক প্রাক-বাজেট আলোচনায় পিআরআই'র পক্ষ থেকে এসব প্রস্তাব উঠে আসে।

পিআইআই'র নির্বাহী ব্যবস্থাপক আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘সৌদি আরবে একটি নিয়ম আছে, সেখানে জমি কিনে ফেলে রাখলে জরিমানা হিসেবে বাড়তি কর দিতে হয়। বাংলাদেশেরও উচিত এমন ব্যবস্থা করা।

পূর্বাচলের প্রসঙ্গ টেনে আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘পূর্বাচলে অনেকে জমি কিনে ফেলে রেখেছেন। মাইলের পর মাইল খালি পড়ে আছে। এখানে আদৌ কিছু উঠবে কিনা সন্দেহ আছে। এসব জমির উপর কর আরোপ করা উচিত।

জমি কিনে এভাবে ফেলে রাখার কোনো মানে হয় না। ’
 
দেশে রাজস্ব আয় বাড়াতে কর রেট না বাড়িয়ে করের পরিধি বাড়াতে হবে। বিশেষ করে প্রত্যক্ষ করের পরিধি না বাড়ালে রাজস্বে আদায়ে কোনো উন্নতি হবে না উল্লেখ করে মনসুর বলেন, দেশের মাত্র এক তৃতীয়াংশ কর আসে প্রত্যক্ষ মাধ্যম থেকে। বাকি সব কর আসে পরোক্ষ মাধ্যম থেকে। পরোক্ষ মাধ্যমের কর মানে জনগণের ওপর বাড়তি চাপ দেয়া।
 
পাশের দেশের উদহারণ টেনে তিনি বলেন, দক্ষিণ কোরিয়া, ইন্দোনেশিয়া, ভারত, মালয়েশিয়া ও থাইল্যান্ডের মতো দেশের রাজস্ব আদায়ের সিংহভাগ দাঁড়িয়ে আছে প্রত্যক্ষ করের ওপর। বাংলাদেশের প্রত্যক্ষ করনীতি করুণ বলে দিনকে দিনে দেশে আয় বৈষম্য আরও প্রকট হয়ে উঠবে।
 
আগামী বাজেটে সরকারকে বাস্তবতার নিরিখে কাজ করতে হবে উল্লেখ করে মনসুর বলেন, আগামী বছরের মধ্যে বাংলাদেশকে কয়েক বিলিয়ন ডলার ঋণ পরিশোধ করতে হবে। বর্তমানে সরকারের আর্থিক সক্ষমতা সীমাবদ্ধ। সেই বাস্তবতা মেনে এবার বাজেটের আকার ছোট হওয়া উচিত।
 
এবারের বাজেটের প্রধান উদ্দেশ্য মূল্যস্ফীতি কমানো হওয়া উচিত উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এতদিনের ব্যাংকের নয়-ছয় নীতির খেসারত এখন এসে দিতে হচ্ছে। এখন থেকে যেভাবে হোক উদ্দেশ্য একটাই- মূল্যস্ফীতি কমিয়ে আনা। ’

news24bd.tv/DHL

এই রকম আরও টপিক