‘দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিতে হবে’

‘দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিতে হবে’

প্রাক-বাজেট আলোচনা ২০২৪-২৫

‘দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিতে হবে’

অনলাইন ডেস্ক

গত দুই বছর ধরে দেশে ৯ শতাংশের ওপরে মূল্যস্ফীতি বিরাজ করছে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস পরিস্থিতি। এমন বাস্তবতায় আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে দ্রব্যমূল্য হ্রাসকরণে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন সংসদ সদস্য (ঝিনাইদহ-২) মো. নাসের শাহরিয়ার জাহেদী মহুল এমপি।

তিনি বলেন, দ্রব্যমূল্য হ্রাসে বাজেটে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিতে হবে।

এ জন্য যা যা করা দরকার, সরকারকে তা করতে হবে। এছাড়া তিনি কৃষকদের উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিতে মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্য কমানোর তাগিদ দেন।

মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে রিসার্চ অ্যান্ড পলিসি ইন্টিগ্রেশান ফর ডেভেলপমেন্ট (র‌্যাপিড) আয়োজিত ‘বাজেট ২০২৪-২৫: মূল চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

শিক্ষা ও গবেষণার গুরুত্ব তুলে ধরে নাসের শাহরিয়ার জাহেদী মহুল বলেন, আমলাদের গাড়ি দেয়ার চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণায় অর্থ বরাদ্দ বাড়ানো জরুরি।

মেধা পাচাররোধে তিনি মেধাবী যুব সমাজের কর্মসংস্থানের উপযুক্ত পরিবেশ নিশ্চিতের তাগিদ দেন। এজন্য শিক্ষা ও গবেষণায় বরাদ্দ বাড়ানোর ওপর জোর দেন তিনি।

ওষুধ শিল্পের রপ্তানি বাড়ানোর জন্য ওষুধের গুণগত মান বৃদ্ধির পরামর্শ দিয়ে জাহেদী বলেন, ওষুধ শিল্পের নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে কোম্পানিগুলোর প্রভাবমুক্ত হয়ে শক্তিশালী ভূমিকা রাখতে হবে। এ সময় তিনি উল্লেখ করেন, ইউরোপ, আমেকিরা ও মধ্যপ্রাচ্যের বাজার ধরতে না পারলে ওষুধ রপ্তানিতে বেশি দূর এগোনো যাবে না। আর সেটি করতে হলে উন্নতমানের কাঁচামাল ও উন্নত প্রযুক্তি সহযোগে ওষুধ প্রস্তুত করতে হবে এবং ওষুধের গুণমানের উন্নয়ন ঘটাতে হবে।

আলোচনা সভায় জনগণকে কর দেওয়ার প্রতি আগ্রহী করার প্রসঙ্গে সংসদ সদস্য মো. নাসের শাহরিয়ার জাহেদী বলেন, ইউনিয়ন পর্যায়ে ভূমির খাজনা আদায়ে তহসিল অফিস আছে। আর জেলা পর্যায়ে পর্যন্ত কর কর্মকতা আছে। উপজেলা পর্যায়েও মানুষের আয় বেড়েছে, করদাতা বাড়েনি। কর খেলাপিদের বা দুর্নীতিগ্রস্থদের বাড়তি সুযোগ দেওয়া সাধারণ করদাতারা নিরুৎসাহিত হচ্ছে।

তিনি বলেন, আমাদের রাজস্ব আহরণ কিন্তু একটা পর্যায়ে গিয়ে থেমে গেছে। এটা কিন্তু প্রান্তিক পর্যায়ে পর্যন্ত যেতে পারছে না। জনগণকে জানাতে হবে কর কোথায় কাজে লাগছে। যদি মানুষ এটা সুবিধা বুঝতে পারে এবং এর প্রতি আস্থা তৈরি হয় তাহলে কিন্তু মানুষ কর দিতে আগ্রহী হবে।

রিসার্চ এন্ড পলিসি ইন্টিগ্রেশান ফর ডেভেলপসেন্টের (র‌্যাপিড) চেয়ারম্যান ড. এম এ রাজ্জাকের  সভাপতিত্বে ও সঞ্চালনায় সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী মো. শহীদুজ্জামান সরকার এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন সংসদ সদস্য নাসের শাহরিয়ার জাহেদী।

এছাড়া সভায় আরও আলোচনা করেন- জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল মজিদ, ডিসিসিআই সভাপতি আশরাফ আহমেদ, প্রথম আলোর হেড অফ অনলাইন সাখাওয়াত হোসেন মাসুম, ইকোমিক রিপোর্টার ফোরামের সভাপতি মোহাম্মদ রেফায়েত উল্লাহ মৃধা।   সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনা করেন র‌্যাপিডের নির্বাহী পরিচালক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. এম আবু ইউসুফ।

news24bd.tv/aa