কোরবানি ইসলামি শরিয়তের একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। আল্লাহ তাআলার নৈকট্য অর্জনের অনন্য মাধ্যম কোরবানি। জাকাতের মতো নেসাব পরিমাণ সম্পদ থাকলে কোরবানি দিতে হয়। তবে, বেশির ভাগের মতেরাসুল (সা.) তাদের কোরবানি দিতে বলেছেন, যাদের ঈদের দিনের সব অভাব পূরণ করার পর পশু জবাইয়ের জন্যও অতিরিক্ত অর্থ থাকে। তারা আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য কোরবানি করবে। সুতরাং কোরবানি করার সামর্থ্য থাকলেই করবেন। এটাই নিয়ম। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি সামর্থ্য থাকার পরও কোরবানি করে না, সে যেন আমাদের ঈদগাহের কাছে না আসে। (ইবনে মাজাহ, হাদিস : ৩১২৩) রাসুল (সা.) ইরশাদ করেন, আল্লাহতাআলার নিকট কোরবানির দিন মানবজাতির কোরবানি অপেক্ষা অধিকতর পছন্দনীয় কোনো আমল নেই। বিচারদিনে কোরবানির পশুকে তার শিং, পশম ও খুরসহ উপস্থিত করা হবে। পশুর রক্ত জমিনে পড়ার পূর্বেই...
কত টাকা হলে কোরবানি বাধ্যতামূলক
অনলাইন ডেস্ক

কোরবানি না দিয়ে কী আকিকা করা যাবে?
অনলাইন ডেস্ক

আকিকা আরবি শব্দ। এর আভিধানিক অর্থ কাটা, আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া আদায় করা, জানের সদকা দেয়া ও আল্লাহর নিয়ামতের মোকাবিলায় কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা। ইসলামি পরিভাষায় আকিকা হচ্ছে, নবজাতকের পক্ষ থেকে পশু জবেহ করা। আলেমদের অনেকেই আকিকা করাকে সুন্নতে মুয়াক্কাদাহ বলেছেন। কিছু অঞ্চলে এমন একটি ধারণা আছে যে, যার ছোটবেলায় আকিকা করা হয়নি তার কোরবানি হয় না। এ ছাড়া অনেকে কোরবানির চেয়ে আকিকাকে এত গুরুত্ব দেন যে কোরবানি না করে আগে আকিকার জন্য পশু জবেহ করেন। এ ক্ষেত্রে কেউ কেউ প্রশ্ন করেন, কোরবানি না করে আকিকা করা যাবে কি না। এর সহজ উত্তর হলো, কারো ওপর কোরবানি ওয়াজিব না হলে তাকে কোরবানি করতে হবে না। সে আকিকা দিলেও সমস্যা নেই। যার ওপর কোরবানি ওয়াজিব তাকে কোরবানি করতে হবে। এ ক্ষেত্রে আকিকা ও কোরবানির মাঝে কোনো সম্পর্ক নেই। আকিকা এক আমল, কোরবানি আরেক আমল। আকিকা মোস্তাহাব ও...
মানুষ মৃত্যুর পর যা যা আশা করবে
জাওয়াদ তাহের

দুনিয়াতে মানুষ তাঁর আশা অনুযায়ী চেষ্টা সাধনা করে, সে কখনো কখনো লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারে। কিন্তু মৃত্যু পরবর্তী জীবন যে জীবনে মানুষ অনেক কিছুই আশা করবে, তার কোরোটা বিন্দুমাত্র বাস্তবায়ন করার সুযোগ পাবে না। নিম্নে আমরা মানুষ মৃত্যুর পর কী কী আশা করবে, তা নিয়ে আলোচনা করা হলো এক. দ্রুত কাফন দাফন করার আশা করবে। আবু সাঈদ খুদরি (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, যখন জানাজা (খাটিয়ায়) রাখা হয় এবং পুরুষ লোকেরা তা তাদের কাঁধে তুলে নেয়, সে পুণ্যবান হলে তখন বলতে থাকে, আমাকে সামনে এগিয়ে দাও। আর পুণ্যবান না হলে সে আপন পরিজনকে বলতে থাকে, হায় আফসোস! এটা নিয়ে তোমরা কোথায় যাচ্ছ? মানুষ ছাড়া সবাই তার চিৎকার শুনতে পায়। মানুষ যদি তা শুনতে পেত তবে অবশ্যই অজ্ঞান হয়ে যেত। (বুখারি, হাদিস, ১৩১৬) দুই. সৎ লোক আশা করবে যাতে দ্রুত কিয়ামত কায়েম হয়ে যায়। যেন সে চিরস্থায়ী ও সম্মানের...
কেউ দাওয়াত দিলে তার জন্য দোয়া করা
উম্মে আহমাদ ফারজানা
নিজস্ব প্রতিবেদক

রাসুল (সা.) কারো বাড়িতে দাওয়াত খেতে গেলে বাড়ি ওয়ালার জন্য দোয়া না করে ফিরে আসতেন না। ইমাম আবু দাউদ (রহ.) আবুল হাইসাম (রা.)-এর ঘটনায় উল্লেখ করেছেন যে আবুল হাইসাম রাসুল (সা.) ও তাঁর সাহাবিদের দাওয়াত করলেন। খাওয়া শেষে তিনি বলেন, তোমাদের ভাইকে সওয়াব দান করো। তারা বলেন, কিভাবে আমরা তাকে সওয়াব প্রদান করব? তিনি বলেন, কাউকে যখন কোনো ঘরে খাওয়ার জন্য ডাকা হবে তখন পানাহার করার পর সে যদি মেজবানের জন্য (নিমন্ত্রণকারীর জন্য) দোয়া করে তাহলে এটিই হবে ঘর ওয়ালাকে সওয়াব পৌছানোর নামান্তর। হাদিসে বর্ণিত হয়েছে যে রাসুল (সা.) একবার সাদ বিন উবাদা (রা.)-এর ঘরে দাওয়াত খেয়ে এই দোয়া করেছেন। উচ্চারণ : আফতারা ইনদাকুমুস সা-ইমুন ওয়া আকালা তা-আমাকুমুল আবরার ওয়া সাল্লাত আলাইকুমুল মালাইকা। অর্থ : রোজাদাররা তোমাদের কাছে ইফতার করেছে, সৎ লোকেরা তোমাদের খাবার গ্রহণ করেছেন এবং ফেরেশতারা...
সর্বশেষ
সর্বাধিক পঠিত
সম্পর্কিত খবর