বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের বলেশ্বর নদীর কাতলার খালে র্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে বনদস্যু আব্বাস বাহিনীর সেকেন্ড ইন কমান্ডসহ দুই বনদস্যু নিহত হয়েছে। বুধবার সকালে ঘণ্টাব্যাপী বন্দুকযুদ্ধের এই ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- সেকেন্ড ইন কমান্ডার ইউসুফ ফকির ও রুহুল আমিন। তাদের বাড়ি বাগেরহাটের মোংলা ও রামপাল উপজেলায়।
ঘটনাস্থল থেকে র্যাব ৭টি আগ্নেয়াস্ত্র ও ১২৪ রাউন্ড গোলাবারুসহ বনদস্যুদের ব্যবহৃত মালামাল উদ্ধার করে।
র্যাব -৮ এর অধিনায়ক উইং কমান্ডার হাসান ইমন আল রাজীব জানান, শরণখোলা রেঞ্জের র্যাব সদস্যরা নিয়মিত টহলের অংশ হিসেবে সকালে সুন্দরবনের কাতলার খাল এলাকায় টহল শুরু করে। এসময় সুন্দরবনের ভেতর থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখে সন্দেহ হলে র্যাব সদস্যরা ওই এলাকায় অভিযান শুরু করে। অভিযানের এক পর্যায়ে সুন্দরবনের ভেতর থেকে র্যাব সদস্যদের লক্ষ্য করে বনদস্যুরা গুলি ছুড়তে শুরু করে।
ঘণ্টাব্যাপী চলা এই বন্দুকযুদ্ধে এক পর্যায়ে বনদস্যুরা সুন্দরবনের গহীন অরণ্যে পালিয়ে যায়। পরে র্যাব সদস্যরা ওই এলাকায় তল্লাশি করে দুই বনদস্যুর গুলিবিদ্ধ লাশ ও ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা বেশ কয়েকটি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করে।
পরে বনদস্যুদের একটি আস্তানা গুড়িয়ে দেওয়া হয়। ঘটনাস্থলে বনজীবীরা উপস্থিত হয়ে নিহতদের পরিচয় নিশ্চিত করে।
শরণখোলা থানায় নিহত দুই বনদস্যুর লাশ ও গোলাবারুদ হস্তান্তর কর হবে বলে জানিয়েছে র্যাব।