শেষ পর্যন্ত অচল অবস্থাটি কাটলবাংলাদেশ টাকার বিনিময় হারকে বাজারভিত্তিক নমনীয় হারের ওপরে ছেড়ে দিতে সম্মত হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) বাংলাদেশকে দেয় মোট ৪৭০ কোটি ডলারের চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তির ১৩০ কোটি ডলারের অবমুক্তি অনুমোদন করেছে। দুই পক্ষের মতানৈক্যের মূল জায়গাটি ছিল বৈদেশিক মুদ্রার সঙ্গে টাকার বিনিময় হার। আইএমএফ বারবার জোর দিচ্ছিল- বাংলাদেশকে বাজারভিত্তিক বিনিময় হার গ্রহণ করতে হবে। বিভিন্ন কারণে বাংলাদেশ এ সুপারিশের বিরোধিতা করছিল। এখন যখন বাংলাদেশ আইএমএফের সুপারিশের সঙ্গে একমত হয়েছে, তখন সৃষ্ট অচলাবস্থার অবসান ঘটেছে। বর্তমান ঘটনাপ্রবাহের চালচিত্রটি বেশ জটিল। সেই পরিপ্রেক্ষিতে তিনটি পর্যবেক্ষণ বেশ গুরুত্বপূর্ণ। প্রথমত, আইএমএফের সঙ্গে বাংলাদেশের আলোচনা বেশ কয়েক মাস ধরেই চলছিল। গত মাসে আইএমএফের একটি...
আইএমএফের ঋণছাড় : পরের পথটা অনেক জটিল
ড. সেলিম জাহান

বিশৃঙ্খলা দেশকে বিপদে ফেলবে
জাহেদ উর রহমান

রাস্তা আটকে কেউ যদি আন্দোলন কর্মসূচি পালন করে, তাহলে নাগরিকদের একধরনের ভোগান্তি হয়। তবে এর সঙ্গে গণতন্ত্রের উত্তরণ যুক্ত। গণতন্ত্রে উত্তরণ ঠিকমতো না হলে সেটিকে কেন্দ্র করে বাজে ধরনের বিশৃঙ্খলার মধ্যে আমরা যদি পড়ে যাই, তাহলে সেটি দেশকে বিপদে ফেলবে। আমাদের আর অনেক বেশি সংস্কারের সুযোগ নেই। কিছু মৌলিক সংস্কার শেষ করে নির্বাচনের মধ্যে যাওয়া এবং সংস্কারকেও রাজনীতির এজেন্ডা করে ফেলা উচিত। নির্বাচন ডিসেম্বরে হওয়া উচিত, এর চেয়ে একটুও দেরি করা ঠিক হবে না। দীর্ঘদিন ধরে সেনাবাহিনী মাঠে থাকলে সদস্যদের কারও কারও অনিয়ম-দুর্নীতিতে জড়িয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। সে জন্য তাঁদের ব্যারাকে ফিরে যাওয়া দরকার। এ ছাড়া মিয়ানমারকে কেন্দ্র করে সংকট দেখা দিয়েছে। সরকার যতই ভালো হোক না কেন, আমাদের অর্থনীতি কিন্তু ভালো করছে না। ডিসেম্বরে নির্বাচনের বিষয়ে সরকারের সবার সঙ্গে...
গণমাধ্যমে মব : রুখতেই হবে এ গজব
মোস্তফা কামাল

লোকালয়ে আগুন লাগলে দেবালয়ও রক্ষা পায় না, বাজারে জমা পানি মাজারেও চলে যায়জাগতিক এ নিয়মে গেল আন্দোলনের সময় দেশের বিভিন্ন জায়গায় হতাহতের শিকার হয়েছেন অনেক গণমাধ্যমকর্মী। বাস্তবতার তোড়ে তখন কে ছাত্র, আর কে জনগণ বা মহাজন সেই পরিচয় সামনে থাকেনি। কে কাকে কোথায় হেনস্তা করেছে ঠিক-ঠিকানাও ছিল না। তার মধ্যেও পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় গণমাধ্যমকর্মীদের ওপর হামলার ঘটনা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের ভাবিয়েছে। তাড়নায় ফেলেছে। সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে তখন সরকার, বিভিন্ন সংগঠন ও নিরাপত্তা বাহিনী দেয়নি। নিজেরাই যখন দৌড়ের ওপর থাকে তখন কে কাকে দেখে? দুর্ভাগ্যজনকভাবে ৫ আগস্টের পর নতুন প্রেক্ষাপটে আরেক ধরনের শিকার গণমাধ্যম এবং এ পেশায় যুক্তরা। নানা কারণে তখনকার বিশেষভাবে আলোচিত কিছু গণমাধ্যম ব্যক্তিত্বের কেউ কারাগারে, কেউ দেশান্তরি, কেউ বা গাঢাকায়। সাংবাদিক...
আরেকটি এক-এগারোর ফাঁদে দেশ?
অদিতি করিম

মঙ্গলবার (২০ মে) রাতে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে সেনাপ্রধানসহ তিন বাহিনীর প্রধান উপস্থিত ছিলেন। সরকারের ঊর্ধ্বতন কয়েকজন কর্মকর্তাও বৈঠকে অংশ নেন। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের আনুষ্ঠানিক বিবৃতি ছাড়া এ বৈঠকের বিস্তারিত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে এ ধরনের উচ্চপর্যায়ের বৈঠক যে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ তা সহজে অনুধাবন করা যায়। কোন পরিস্থিতিতে আইনশৃঙ্খলা নিয়ে এ পর্যায়ের বৈঠক হয় তা সবাই কমবেশি অবগত আছেন। দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো না। পরিস্থিতি অনুধাবনের জন্য এটুকু বাক্য যথেষ্ট নয়। আইনশৃঙ্খলার অবস্থা উদ্বেগজনক, আতঙ্কের এবং উৎকণ্ঠার। দেশ এখন একটা অরাজকতার দ্বারপ্রান্তে। কোথাও কোনো কিছুর নিয়ন্ত্রণ নেই। রাজপথে নানান দাবিদাওয়ায় রাজনৈতিক দলগুলোর আন্দোলন, অন্যদিকে বিভিন্ন পেশাজীবীর...
সর্বশেষ
সর্বাধিক পঠিত
সম্পর্কিত খবর