অজ্ঞান করে ধর্ষণ, পল্টন থানার ওসি বরখাস্ত

নারীকে ধর্ষণ

অজ্ঞান করে ধর্ষণ, পল্টন থানার ওসি বরখাস্ত

অনলাইন ডেস্ক

খাবারের সঙ্গে চেতনানাশক ওষুধ মিশিয়ে অজ্ঞান করে এক নারীকে ধর্ষণের অভিযোগে পল্টন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল হককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এছাড়া ওই নারীকে বিয়ের প্রলোভন ও চাকরি দেওয়ার কথাও বলেন ওসি।

এ তথ্য নিশ্চিত করেন পুলিশের মতিঝিল বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি)।

আরও পড়ুন: মদ্যপ ছেলেকে শাসন করে ধর্ষিত মা

আজ সোমবার ডিসি আনোয়ার বলেন, ঘটনা সঠিক।

তদন্তে ওসির বিরুদ্ধে ধর্ষণের সত্যতা পাওয়া গেছে। তাই তাঁকে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।


ওসি মাহমুদুল হকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ প্রসঙ্গে পুলিশ জানান, মাহমুদুল হকের সঙ্গে তাঁর আগে থেকে পরিচয় ছিল। ওই নারীর বাড়ি নওগাঁ জেলায়।

সেই পরিচয়ে ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর মাসে রাজধানীর ঢাকায় ডেকে এনে তাঁকে একটি হোটেলে রাখেন ওসি মাহমুদুল হক। হোটেলে খাবারের সঙ্গে চেতনানাশক ওষুধ মিশিয়ে ওই নারীকে ওসি মাহমুদুল হক ধর্ষণ করেন। চেতনা ফিরলে ঘটনা বুঝতে পেরে তিনি মাহমুদুল হককে প্রশ্ন করেন। তখন ওসি ওই নারীকে বিয়ে করার প্রতিশ্রুতি দেন। এরপর তাঁকে একাধিক বার ধর্ষণ করেন ওসি মাহমুদুল হক।

ফলে ওই নারী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে ওসি মাহমুদুল হক তাঁকে গর্ভপাতে বাধ্য করান। পরে বিয়ের জন্য চাপ দিলে চলতি বছরের এপ্রিল থেকে তাঁর সঙ্গে ওসি আর যোগাযোগ করেননি। এরপর অফিসে গেলে ওই নারীকে আবারও বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে বাসায় পাঠিয়ে দেন ওসি।

একপর্যায়ে ওসি মাহমুদুল হকের বাবার সঙ্গে যোগাযোগ করেন ওই নারী।

প্রথমে মেয়েটির প্রতি সহানুভূতি দেখান তিনি। তবে পরে ওসির বাবাও নানাভাবে হুমকি দিতে শুরু করেন। কোনো উপায় না দেখে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন ওই নারী। এ সব ঘটনা জানিয়ে গত আগস্ট মাসে পুলিশ সদর দপ্তরে অভিযোগ করেন তিনি।

অভিযোগের প্রেক্ষিতে ঘটনার তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয় মতিঝিল বিভাগের অতিরিক্ত উপ কমিশনার (এডিসি) মোনালিসা বেগমকে।

পুলিশের মতিঝিল বিভাগের ডিসি আনোয়ার হোসেন জানান, তদন্তে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে।

নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)