সদর হাসপাতালে ভর্তি ৪৪, আশঙ্কাজনকও আছে

সদর হাসপাতালে ভর্তি ৪৪, আশঙ্কাজনকও আছে

অনলাইন ডেস্ক

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার মন্দবাগ এলাকায় দুই ট্রেনের সংঘর্ষে এ পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছে। এর মধ্যে হবিগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সহসভাপতি রয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছে বহু। তাদের মধ্য থেকে ৪৪ জনকে জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) ভোরে দুর্ঘটনার পর সকালে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা ধাপে ধাপে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসেন।

জেলা সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক শওকত হোসেন জানান, এ পর্যন্ত ৪৪ জনকে এ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আমরা তাদের চিকিৎসা দিচ্ছি। তবে এদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

এদিকে গুরুতর আহতদের জীবন রক্ষায় হেলিকপ্টার ব্যবহারের দাবি করেছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি।

হেলিপপ্টারে করে আহতদের দ্রুত ঢাকায় এনে সিএমএইচ এবং পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি ও চিকিৎসা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।

আজ মঙ্গলবার (নভেম্বর) সকালে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী এই দাবি জানান।

বিবৃতিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ট্রেন দুর্ঘটনায় হতাহতদের দ্রুত উদ্ধার ও বিনামূল্যে সুচিকিৎসা নিশ্চিত করার দাবি জানান তিনি।

একইসঙ্গে এই ভয়াবহ দুর্ঘটনার জন্য দায়ীদের চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান।

তিনি নিহত প্রত্যেক পরিবারের কাছে রেলওয়ের খরচে লাশ পৌঁছে দেওয়া এবং হতাহত প্রত্যেক পরিবারের কাছে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ প্রদানের দাবি জানান।

বিবৃতিতে আরো বলা হয়, বাংলাদেশ রেলওয়েতে পদে পদে অনিয়ম, দুর্নীতি, লুটপাট ও দায়িত্ব পালনে গাফিলতির মহোৎসব চলছে। এখানে দুর্নীতিবাজরা পুরস্কৃত হচ্ছে, সৎ কর্মকর্তারা কোনঠাসা হয়ে পড়ছে। যাত্রীসেবার মান ও ট্রেনের গতি গাণিতিক হারে নিম্নমুখী হচ্ছে। অথচ সরকার প্রধান মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা রেলকে গতিশীল করতে প্রায় অর্ধশত যাত্রীবান্ধব প্রকল্প বাস্তবায়নে প্রায় লক্ষ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন। সরকারের নির্বাচনী অঙ্গীকার দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতির বাস্তবায়ন করে এসব প্রকল্পে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার জন্য দাবি জানানো হয় বিবৃতিতে।

বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী আরও বলেন, এই রেল দুর্ঘটনায় দায়িত্ব পালনে গাফিলতিকারী অথবা ইঞ্জিনিয়ারিং ত্রুটি, ঠিকাদারের দুর্নীতিতে যারা জড়িত থাকুন না কেন, তাদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করে দ্রুত বিচারের মুখোমুখি করা হোক।

এদিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় দুই ট্রেনের সংঘর্ষে দুমড়েমুচড়ে যাওয়া বগির নিচে আরো মরদেহ থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। হতাহতদের উদ্ধার কাজ চলছে। অনেকের কাটা হাত-পা উদ্ধার হচ্ছে।

এ দৃশ্য অসহনীয় উল্লেখ করে জেলা প্রশাসক হায়াত উদ-দৌলা জানান, সম্ভবত একটি শিশু ভেতরে রয়ে গেছে। সকাল সাতটা নাগাদ তাকে জীবিত বা মৃত উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।

দুর্ঘটনায় উদয়নের দুটি বগি দুমড়েমুচড়ে যায়। এতে ঢাকার সঙ্গে সিলেট ও চট্টগ্রামের রেল যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। এরই মধ্যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন।

(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)

সম্পর্কিত খবর