জ্বর-সর্দি থাকলেই শনাক্ত করবে এই স্ক্যানার

জ্বর-সর্দি থাকলেই শনাক্ত করবে এই স্ক্যানার

অনলাইন ডেস্ক

শনিবার রাত পর্যন্ত ১৭৮৩ জন যাত্রী চীন থেকে এসেছে। এয়ারপোর্টে দুটি স্ক্যানার দিয়ে তাদের প্রত্যেককেই স্ক্রিনিং করা হয়েছে। এমন তথ্য জানিয়েছেন সংক্রমক রোগ নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির পরিচালক অধ্যাপক ডা. তানিয়া তাহমিনা।

তিনি বলেন, গতকাল (শনিবার) রাত পর্যন্ত ১৭৮৩ জন যাত্রী চীন থেকে এসেছে।

এয়ারপোর্টে তাদেরকে স্ক্রিনিং করা হয়েছে। ৩টা স্ক্যানারের মধ্যে ২টা ভালো আছে। স্ক্যানারগুলো যাত্রীর কাছে থেকে ধরলে যদি তার জ্বর-সর্দি থেকে থাকে, তাহলে খুবই দ্রুত শনাক্ত করতে পারে।

তিনি বলেন, আজকে (রোববার) সকালের প্রোগ্রামে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি সেখানে আরও দুটি স্ক্যানার দেওয়া হবে।

প্রতিদিন কতজন যাত্রীকে স্ক্যানিং করা হচ্ছে, তার মধ্যে কেউ অসুস্থ আছে কিনা, এগুলো আমরা দেখব।

এ পর্যন্ত কতজনকে পরীক্ষা করা হয়েছে এমন প্রশ্নের জবাব সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, আমাদের কাছে ফোনকল এসেছে ৯ জনের। ৯ জনকেই আমরা টেলিফোন ইন্টারভিউয়ের মাধ্যমে ভেরিফিকেশন করে ২ জনকে সেম্পল নিয়ে পরীক্ষা করেছি। এ ছাড়া বাকিদের কারও মধ্যে প্রাসপেক্টিভ কেস আমরা পাইনি, তাই পরীক্ষার প্রয়োজন হয়নি।

পরীক্ষাকৃত দুজনকে সন্দেহভাজন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হিসেবে ধরা হয়েছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তাদের সন্দেহভাজন হিসেবে ধরা ঠিক হবে না। কারণ, তারা চীন থেকে আসলেও আক্রান্ত এলাকা থেকে আসেননি। আমরা অতি সতর্ক হয়েই তাদের পরীক্ষা করেছি।

ডা. সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও ইউএসইডিসিকে নিয়ে আমরা একটি টিম তৈরি করেছি। তারা প্রতিদিন এটা রিভিউ করবে যে, গতকালের অবস্থা অনুযায়ী আমাদের পরবর্তী করণীয় কি আছে, এর প্রেক্ষিতে আমরা আজকেও (রোববার) বসেছিলাম। সেখান থেকে আমরা বিশ্লেষণ করে দেখেছি যে, এই মুহূর্তে স্থলবন্দরগুলোকে সতর্ক রাখব। কিন্তু যেভাবে চীন থেকে আগত ফ্লাইটগুলোকে মনিটরিং করেছিলাম, সেটা এখনও অব্যাহত রাখব। এ ক্ষেত্রে আমরা চীনকেই অধিকতর গুরুত্বের মধ্যে রাখছি।

‌‘তার কারণ হলো, অন্য দেশে যতগুলো এ রোগী পাওয়া যায়, কিছু সাসপেক্টেড (সন্দেহভাজন) পেশেন্ট আর কিছু আক্রান্ত। ’

(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)

সম্পর্কিত খবর