ধর্ষণ থেকে বাঁচতে চলন্ত অটোরিকশা থেকে লাফ অতঃপর...

প্রতীকী ছবি

ধর্ষণ থেকে বাঁচতে চলন্ত অটোরিকশা থেকে লাফ অতঃপর...

অনলাইন ডেস্ক

সিএনজি অটোরিকশায় তুলে কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়। ধর্ষণ থেকে বাঁচতে চলন্ত অটোরিকশা থেকে লাফ দিয়ে পড়ে ওই ছাত্রীর হাত ভেঙ্গে যায়। আজ বুধবার কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার বাখরাবাদ-পান্নারপুল সড়কের আড়ালিয়া নামক এলাকায় এই জঘন্য ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় স্থানীয়রা দুইজনকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে দেয়।

আটক করা হয় মুরাদনগর উপজেলার দারোরা গ্রামের রেনু মিয়ার ছেলে ইসমাঈল (৩৫) ও দারোরা গ্রামের দক্ষিণ পুষ্কনীপাড় গ্রামের নায়েব আলীর ছেলে মোবারক হোসন মোবা (৩২)।  

প্রতক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, বুধবার কলেজ ছাত্রীটি দারোরা বাজার থেকে দেবিদ্বার মহিলা কলেজে যাওয়ার লক্ষ্যে গাড়ির জন্যে অপেক্ষা করার কিছুক্ষণ পর আটক মোবারক হোসেন মোবা নিজের সিএনজি অটোরিকশা নিয়ে কলেজ ছাত্রীর সামনে থামিয়ে জানতে চান তিনি কোথায় যাবেন।  

দেবিদ্বার মহিলা কলেজে কথা বললে তিনি ছাত্রীটিকে গন্তব্যে নামিয়ে দেয়ার কথা বলে গাড়িতে উঠতে বলেন। কিছুক্ষণ গাড়ি চলার পর যাত্রী বেশে ইসমাঈল কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা করে।

 

এ সময় মেয়েটি নিজেকে রক্ষা করতে ইসমাঈলের সঙ্গে ধস্তাধস্তি করে। এর মধ্যে আড়ালিয়া নামক স্থানে কলেজ ছাত্রীটি সিএনজি অটো রিকশা থেকে লাফ দিয়ে পড়ে। এতে তার হাত ভেঙ্গে যায়। বিষয়টি কয়েকজনের নজরে পড়ায় তারা এসে অটো রিকশাকে আটক করে। পরে মোবারক হোসেন মোবা ও ইসমাঈলকে ধরে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে। তারা উভয়েই পেশায় সিএনজি অটোরিকশার চালক।

মুরাদনগর থানার ওসি কেএম মঞ্জুর আলম বলেন, দারোরা সিএনজি অটোরিকশা স্ট্যান্ড থেকে চালক মোবারক ও তার সহযোগী ইসমাঈল কলেজ ছাত্রীটিকে অটো রিকশাতে তোলে। আড়ালিয়া নামক স্থানে ছাত্রীটির চেঁচামেচিতে স্থানীয়রা গাড়িটি আটক করে দুই বখাটেকে মারধর করে পুলিশে দেয়।

 

নিউজ টোয়েন্টিফোর/কামরুল