রাজনের ইউএন বাংলা ফন্ট উদ্বোধন করল জাতিসংঘ

রাজনের ইউএন বাংলা ফন্ট উদ্বোধন করল জাতিসংঘ

অনলাইন ডেস্ক

মুহিববুর রহমান রাজনের ইউএন বাংলা ফন্ট ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে উদ্বোধন করে জাতিসংঘ। এ উদ্বোধনের খবর দেশজুড়ে সাড়া ফেলেছে। ইউএন বাংলা ফন্ট উদ্বোধন বাংলাদেশের জন্য বড় একটি অর্জন।

মুহিববুর রহমান রাজন মূলত ইউএন বাংলা ফন্ট এর ডিজাইনার।

নতুন এই ফন্ট তৈরি করতে রাজনের লেগেছে প্রায় চার মাস। যদিও কিছু কাজ এখনো বাকি আছে। পুরো কাজটি শেষ করতে আরও কয়েক মাস সময় লাগবে তার।

মুহিববুর রহমান রাজন বলেন, কী কাজে ব্যবহার করা হবে তার ওপর নির্ভর করেই একটি ফন্ট এর নকশা নির্ধারিত হয়।

ইউএন বাংলা ফন্ট ডিজাইনের ক্ষেত্রে বেশ কয়েকজনের একটি টিম কাজ করেছে এবং এই ফন্টটি ফাইনাল করার আগে বেশ কয়েকটি ফন্ট ডিজাইনও করা হয়েছে। মূলত ৪-৫টি ফন্ট স্টাইল থেকে আমার এই ফন্টটি সিলেক্ট করার পর এ নিয়ে আমার কাজ শুরু হয়।

ফন্ট তৈরির প্রক্রিয়া সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, একটি বর্ণমালার সৌন্দর্য এবং ব্যবহার উপযোগিতা নির্ভর করে এর স্ট্রোক ও স্পেসের ভারসাম্যপূর্ণ ব্যবহারের ওপর। স্ট্রোক ও স্পেসের বিষয়টি মাথায় রেখে প্রথমে একটি ফন্ট এর রূপ কল্পনা করে স্কেচবুকে পেন্সিলের সাহায্যে বিভিন্ন অক্ষরের অনেক স্কেচ তৈরি করি। তারপর একটি অক্ষরের আদলে অন্য অক্ষরগুলো তৈরি করে নিই।

তিনি আরও বলেন, পরবর্তী পর্যায়ে স্কেচবুক বা কাগজে আঁকা অক্ষরগুলো স্ক্যান করে কম্পিউটারে নিয়ে এডবি ইলাস্ট্রেটর সফটওয়্যার ব্যবহার করে ভেক্টর গ্রাফিক্স তৈরি করি। ডিজিটালে নিয়ে যাওয়ার পর কখনো মনে হয়েছে, কোনও একটি অক্ষরের আকার অন্যগুলোর সঙ্গে যাচ্ছে না। ফলে আবার নতুন করে ওই অক্ষরটির স্কেচ তৈরি করে ভেক্টর করতে হয়েছে। অবশেষে ফন্ট তৈরির সফটওয়্যারে ভেক্টর করা হরফগুলোকে বসিয়ে বিভিন্ন পরিবর্তন ও পরিমার্জনের পর ব্যবহার উপযোগী করে আউটপুট দেই।

শুধু ইউএন বাংলা ফন্টই নয়, আরও কয়েকটি ফন্টের জনক মুহিববুর রহমান রাজন। এর মধ্যে আছে রাজন শৈলী, রাজন প্রাংশু। এছাড়া দেশের শীর্ষ একটি সংবাদপত্রের ফন্টও তার তৈরি করা। ভবিষ্যতে বাংলা ফন্ট নিয়ে আরও অনেক বড় পরিসরে কাজ করতে চান তিনি। সঙ্গে বাংলা ভাষাকে দেখতে চান বিশ্বের সর্বোচ্চ স্থানে।

(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)

সম্পর্কিত খবর