শিগগিরই বাজারে আসছে করোনা ভাইরাসের প্রতিষেধক!

শিগগিরই বাজারে আসছে করোনা ভাইরাসের প্রতিষেধক!

অনলাইন ডেস্ক

করোনা ভাইরাস নিয়ে সুখবর প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যামব্রিজভিত্তিক বায়োটেক কোম্পানি মডের্না থেরাপেটিকস।

কভিড-১৯ এর প্রতিষেধক প্রস্তুত করা হয়েছে বলে দাবি করেছে তারা। ইতিমধ্যে আক্রান্ত রোগীর দেহে এই প্রতিষেধক প্রবেশ করিয়ে সফলও হয়েছেন। ওই রোগী আগের চেয়ে বেশ সুস্থবোধ করছেন।

আরও বেশ কয়েকটি পরীক্ষায় সফল হলেই প্রথমবারের মতো করোনা ভাইরাসের প্রতিষেধক বাজারে আনবে কোম্পানিটি।

আগামী এপ্রিলের মধ্যে মানবদেহে ভ্যাকসিনটির প্রাথমিক পরীক্ষা চালানো হবে।

করোনা ভাইরাসের প্রতিষেধক আবিষ্কারে এমন সব তথ্য দিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সিএনএন ও সিএনবিসি।

সংবাদমাধ্যম দুটি জানায়, চলতি বছরের জানুয়ারি মাসের মাঝামাঝি সময়ে চীনা গবেষকরা নতুন করোনা ভাইরাসের জেনেটিক সিকোয়েন্স প্রকাশ করেন।

তার ৪২ দিন পর কোভিড-১৯ এর ভ্যাকসিন তৈরি করা হয়।

যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব অ্যালার্জি অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেসের(এনআইএআইডি) ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব হেলথের (এনআইএইচ) বিজ্ঞানীরা ভ্যাকসিনটির কার্যকারিতা নিয়ে আরও গবেষণা করছিলেন।

এরই মধ্যে জাপানে কোয়ারেন্টাইনে রাখা যাত্রীবাহী জাহাজ ডায়মন্ড প্রিন্সেসের কোভিড-১৯ আক্রান্ত এক যাত্রী স্বেচ্ছায় নিজের ওপর এ ভ্যাকসিন পরীক্ষা করাতে আগ্রহী হন। এ রোগে আক্রান্ত আরও অনেকেই এ পরীক্ষায় অংশ নেন।

এতে আক্রান্তদের অনেকেই সুফল পেয়েছেন।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক প্রস্তুত হওয়ার পর মার্কিন সরকারের কাছে এর নমুনা দিয়েছে মডের্না। কোম্পানিটির পক্ষ থেকে আরও বলা হচ্ছে, আগামী এপ্রিল মাসের মধ্যেই প্রতিষেধকটি দিয়ে মানবদেহে পরীক্ষা চালানো হবে এতে সফল হলেই তারা ভ্যাকসিনটি বাজারজাত করবেন।

ভাইরাসটির প্রতিষেধক আবিষ্কারে ১৮ মাস লেগে যেতে পারে বলে বলা হলেও এখন এক মাসেই তা কি করে সম্ভব হলো এমন প্রশ্ন করা হয়েছে মর্ডেনাকে।

এ বিষয়ে মর্ডেনার বিজ্ঞানীরা বলেছেন, নতুন এক জেনেটিক মেথডে এটি তৈরি হয়েছে। যেখানে ভাইরাস না ব্যবহার করে এম-আরএনএ-১২৭৩ ব্যবহৃত হয়েছে। এ উপাদান মানবদেহে প্রোটিন তৈরি করে, শরীরের ভাইরাসের বিরুদ্ধে কার্যকরী ভূমিকা রাখে।

 

নিউজ টোয়েন্টিফোর/কামরুল