বাংলাদেশে কৃষি জমি বাড়ছে না, কিন্তু মুখ বাড়ছে। আর তাই খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে কৃষি গবেষণায় গুরুত্ব দেওয়ার তাগিদ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ‘বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার’ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের লোকসংখ্যা যে হারে বাড়ছে, সেই হারে ফসলি জমির পরিমাণ ঠিক বৃদ্ধি পাচ্ছে না। সে কারণে খাদ্যের উৎপাদন বাড়াতে হবে।
’এর জন্য তিনি কৃষি গবেষণায় জোর দেওয়ার পাশাপাশি পরিকল্পিত শিল্পায়নের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন, ‘ইতোমধ্যে আমরা নির্দেশ দিয়েছি দুই ফসলি বা তিন ফসলি জমি কোনোভাবেই এ কাজে ব্যবহার করা যাবে না। অন্য জমিগুলোতে আমরা শিল্পায়ন থেকে শুরু করে যা যা করার করব। এটা আমাদের পরিবল্পিতভাবে করতে হবে। ’
খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে আওয়ামী লীগ সরকারের নেওয়া বিভিন্ন উদ্যোগের কথা বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী ২০০৫-০৬ এবং ২০১৬-১৭ অর্থবছরের উৎপাদনের পরিসংখ্যান তুলে ধরেন অনুষ্ঠানে।
প্রতিবছর ৫ জনকে স্বর্ণ, ৯ জনকে রৌপ্য এবং ১৮ জনকে ব্রোঞ্জ দেওয়া হয়। ২৫ গ্রাম ওজনের পদকের সঙ্গে স্বর্ণপদকপ্রাপ্তরা এক লাখ, রৌপ্যপদকপ্রাপ্তরা ৫০ হাজার এবং ব্রোঞ্জপদকপ্রাপ্তরা ২৫ হাজার টাকা করে পান।
কৃষি উৎপাদনের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের উৎসাহিত করতে ১৯৭৩ সালে ‘বঙ্গবন্ধু পুরস্কার তহবিল’ গঠন করা হয়। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর এ পুরস্কার বিতরণসহ অন্যান্য কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়। ২০০৯ সালের পুনরায় এ পুরস্কার চালু করা হয় এবং প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে একটি ট্রাস্ট বোর্ড গঠন করা হয়। বর্তমানে ওই ট্রাস্টের অধীনেই এ পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে।