অব্যবস্থাপনার বলি

হাবিবুল ইসলাম হাবিব

নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে তৈরি অপরিকল্পিত স্থাপনায় অগ্নিকাণ্ড, বিস্ফোরণসহ নানা কারণে বাড়ছে মৃত্যুর মিছিল। সবশেষ নারায়ণগঞ্জের মসজিদের ঘটনা কেড়েছে বহু প্রাণ। পরিবারকে ক্ষতবিক্ষত করার পাশাপাশি এ ঘটনায় শোকাহত দেশের মানুষ। অগ্নিকাণ্ডের সবচেয়ে বেশি ৩৯ শতাংশ ঘটছে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিটে, ১৮ শতাংশ চুলার আগুন ও বিস্ফোরণে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আইনপ্রয়োগ ও অব্যাবস্থাপনার কারণে ঘটছে এমন দুর্ঘটনা।

দেশে আগুনে পুড়ে বহু হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। সবশেষ ঘটনা নারায়ণঞ্জের মসজিদে এসি বিস্ফোরণ। শুধু কেমিকেল গোডাউন কিংবা গার্মেন্টস নয়, সব জায়গায়ই মানুষ বলি হচ্ছে অব্যাবস্থাপনার।

news24bd.tv

এসব অগ্নিকাণ্ডের ১৮ শাতংশ চুলার আগুন থেকে, ৩৯ শতাংশ বৈদ্যুতিক গোলযোগ, ১৫ শতাংশ সিগারেটের আগুন আর ২৮ শতাংশ অন্যান্য। গেল এক যুগে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা প্রায় তিন গুণ বেড়েছে। এতে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে প্রাণহানি ও আর্থিক ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণও। গেল বছর ১৯ হাজার ৬৪২ অগ্নিকাণ্ডে প্রাণ গেছে ১৩০ জনের, সম্পদ পুড়েছে ৩৮৬ কোটি টাকার।

এর এক যুগ আগে, ২০০৬ সালে অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে ৯ হাজার ৫৪২টি। তাতে ৯২ জনের প্রাণের সঙ্গে আর্থিক ক্ষতি দাঁড়ায় ২৩৮ কোটি টাকা।

news24bd.tv

গেল ১৫ বছরের তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, আগুনে সবচেয়ে বেশি প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে ২০১১ সালে, ৩৬৫ জন। সবচেয়ে কম প্রাণহানি ঘটে ২০১৭ সালে, ৪৫জন।

তবুও কী থামছে অসাবধানতা? দেড় বছর আগে চুড়িহট্টায় কেমিকেল গোডাউনের অগ্নিকাণ্ডে ঝরে যায় অসংখ্য তাজা প্রাণ। কিন্তু হতাশার বিষয় হলো হরহামেশাই আবাসিক ভবনের নিচে এখনো চলছে দাহ্যপদার্থের গোডাউনের কাজ।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশে শুধু আগ্নি নির্বাপন ব্যবস্থা জোরদার করে এর সুরাহা হবে না। প্রয়োজন সঠিক মনিটরিংয়ের পাশাপশি মানুষের সচেতনতা।


আরও পড়ুন:

তিতাসের ৮ কর্মকর্তা বরখাস্ত


তাদের মতে ভবন নির্মাণের অপরিকল্পনাতো রয়েছেই, পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলার অপপ্রয়োগের কারণে প্রতিনিয়ত বলি হচ্ছে সাধারণ মানুষ।

যতদ্রুত সম্ভব সব ধরনের ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে বিদ্যুৎ, গ্যাস ও অন্যান্য সংযোগগুলো নির্মাণে সংশ্লিষ্ট সংস্থার সচেতনতা আরো বৃদ্ধির পরামর্শ তাদের।

(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)

এই রকম আরও টপিক