বাংলাদেশের প্রথম সিরিয়াল কিলার রসু খাঁকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন চাঁদপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল। ফরিদগঞ্জের পারভীনকে হত্যার দায়ে তার সঙ্গে আরো দু’জনকে একই সাজা শোনানো হয়েছে।
আজ দুপুরে জেলা জজ মো. আব্দুল মান্নান এ দণ্ডাদেশ দেন। অপর দুই মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত হলেন রসু খাঁর ভাগ্নে জহিরুল ইসলাম ও একই বাড়ির ইউনুছ।
রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবী হাবিবুল ইসলাম তালুকদার গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।তিনি বলেন, ‘ফ্যান চুরি করে ধরা খাওয়ার পরে পারভীন হত্যা মামলার মাধ্যমেই আলোচনায় আসেন রসু খাঁ। এর আগে ২০১৫ সালের ২২ এপ্রিল আলোচিত সাহিদা হত্যা মামলায় রসু খাঁকে মৃত্যুদণ্ড দেন চাঁদপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত। ’
এ মামলার আসামি পক্ষের আইনজীবী ও আদালত সূত্রে জানা গেছে, ‘২০০৮ সালের ১৮ আগস্ট ফরিদগঞ্জের নানুপুর খালপাড়ে এনে ধর্ষণের পর খুন করা হয় খুলনার দৌলতপুরের সজলা গ্রামের সাহিদা বেগমকে।
চুরির ঘটনায় ২০০৯ সালের ৭ অক্টোবর ঢাকার টঙ্গীর নিরাশপুর থেকে রসু খাঁকে আটক হয়। জিজ্ঞাসাবাদ করতে গিয়ে বেরিয়ে আসে সিরিয়াল কিলিংয়ের চাঞ্চল্যকর তথ্য। একে একে ১১ জন নারীকে হত্যার ঘটনা স্বীকার করে রসু খাঁ। পরবর্তীতে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমিরুল ইসলামের কাছে ১৬৪ ধারায় দেওয়া জবানবন্দিতেও ১১ খুনের বর্ণনা দেয় সে। জবানবন্দিতে জানায়, তার ইচ্ছে ছিল ১০১ নারীকে খুন করে সিলেট মাজারে গিয়ে সন্ন্যাসী হওয়ার।