দুবাইয়ে চীনা পণ্যের অন্যতম বৃহত্তম বাজার ড্রাগন মার্ট। হাত বাড়ালে যেখানে মিলে নিত্য ব্যবহারের সকল পণ্য। বিশ্বের নানা প্রান্তের পর্যটক ও ভ্রমণকারীরা একবার হলেও ঘুরে যান এই বাজার। ভিনদেশীদের পাশাপাশি এখানে সমৃদ্ধ বাংলাদেশিদেরও ব্যবসা-বাণিজ্য।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের হাত্তা-দুবাই মহাসড়কের পাশে বিশাল এলাকা জুড়ে চীনা পণ্যের অন্যতম বাজার ড্রাগন মার্ট। চলমান বৈশ্বিক মহামারির সাথে লড়াই করে আবার ঘুরে দাঁড়াতে শুরু দুবাই। চালু হয়েছে চীনা পণ্যে অন্যতম বৃহত্তম বাজার ড্রাগন মার্ট।
দুটো আলাদা ভবনে বিভক্ত এই মার্কেটে রয়েছে প্রায় সাড়ে ছয় হাজারের মত দোকান।
ভেতরে বাইরে চীনা সংস্কৃতির কারুকাজ থাকলেও এই বাজারে ব্যবসায়ীর তালিকায় বাংলাদেশিদের নাম সবার উপরে। অর্থাৎ ভিনদেশিদের সাথে পাল্লা দিয়ে ব্যবসা-বাণিজ্য ও কর্মজীবী হিসেবে অনেকটা এগিয়ে আছেন বাংলাদেশিরা।
করোনার ধকল কেটে গেলে এই বাজারে আবারও বাড়বে বাংলাদেশি শ্রমিকের চাহিদা। প্রসার গড়বে তাদের ব্যবসা-বাণিজ্যে। পাশাপাশি এই বাজারে ভিনদেশিদের সাথে পাল্লা দিয়ে বাংলাদেশিরা বাড়াবে দেশের সুনাম এমনটাই প্রত্যাশা সকলের।
চাহিদা অনুযায়ী সকল পণ্যের যোগান ও সাশ্রয়ী মূল্য হওয়ায় প্রতিদিন ওমান, সৌদি আরব, বাহরাইন সহ মধ্যপ্রাচ্যের পর্যটকরা ভিড় করেন চীনা পণ্যের অন্যতম এই বাজারে। এখানে পর্যটকদের জন্য রাখা হয়েছে হোটেল, আলাদা ফুটকোট ও বিনোদনের জন্য সিনেমা হল। শিশু-কিশোরদের জন্যেও আছে বিনোদনের ব্যবস্থা। সব মিলিয়ে ড্রাগন মার্টে।
চলমান মহামারি করোনার সঙ্গে অন্যান্যদের মত এখানকার ব্যবসায়ীরাও লড়াই করতে হচ্ছে সমানভাবে। তবে পূর্বে তুলনায় কিছুটা পরিবর্তন এসেছে ব্যবসায়। পরিস্থিতি উন্নতির দিকে থাকায় ঘুরে দাঁড়াতে আশাবাদী ব্যবসায়ীরা।
আরও পড়ুন: ‘করোনা আক্রান্তদের গুলি করে মারছে উওর কোরিয়া’
নিউজ টোয়েন্টিফোর/নাজিম