ঢাকা থেকে বরিশালগামী এমভি পারাবত-১১ নামে একটি লঞ্চের কেবিনে এক নারীকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ হত্যা করা হয়েছে।
সোমবার (১৩ সেপ্টেম্বর) ভোরে লঞ্চটি বরিশাল নদী বন্দরে পৌঁছার পর মধ্য বয়সী ওই নারীর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করে পুলিশ। ওই নারীর সাথে থাকা সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে সিসি ক্যামেরার ফুটেজে পুলিশ সনাক্ত করতে পারলেও তাকে এখন পর্যন্ত গ্রেফতার করতে পারেনি। এ ঘটনায় মামলা দায়ের সহ আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েেেছন পুলিশ কর্মকর্তারা।
লঞ্চের কর্মচারীরা জানান, গতকাল রবিবার সন্ধ্যা ৬টা ৩১ মিনিটে ঢাকার সদরঘাট থেকে এক ব্যক্তি ওই নারীকে সাথে নিয়ে এমভি পারাবত-১১ লঞ্চের তৃতীয় তলার ৩৯১ নম্বর সিঙ্গেল কেবিনে ওঠে। লঞ্চের রেজিস্ট্রারে তার নাম দেয়া হয় কামরুল। মুঠোফোন নম্বর দেয়া হয় ০১৭১১০২৫০৯২।
সোমবার ভোর ৪টা ৪৭ মিনিটে লঞ্চটি বরিশাল নদী বন্দরে নোঙ্গর করলে ওই নারীর সাথে থাকা পুরুষ ব্যক্তি নারীর ব্যাগ, মাস্ক এবং ওড়না নিয়ে ব্যাগ কাঁধে নিয়ে দ্রুত নেমে যায়।
খবর পেয়ে নৌ পুলিশ, থানা পুলিশ এবং সিআইডি’র ক্রাইমসিন বিশেষজ্ঞ দল ওই নারীর মৃত দেহসহ খুঁটিনাটি সব বিষয় পরীক্ষা নিরীক্ষা করে।
ওই নারীকে ধর্ষণ শেষে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে এবং তার গলায় শ্বাস রোধ করার চিহ্ন রয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে পুলিশ। এমনকি তার সাথে থাকা ব্যাগ, মাস্ক এবং ওড়নাও ওই ব্যক্তি নিয়ে গেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
লঞ্চের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ করে ওই নারীর সাথে থাকা সন্দেহভাজন ওই ব্যক্তিকে পুলিশ সনাক্ত করতে পারলেও তাকে গ্রেফতার করতে পারেনি। তবে সিটি ক্যামেরার ফুটেজ থেকে সন্দেহভাজন ব্যক্তির ছবি সংগ্রহ করে বিভিন্ন বাস টার্মিনালে প্রেরণ করে পুলিশ। ময়না তদন্তের জন্য ওই নারীর লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এ ঘটনায় মামলা দায়ের সহ অভিযুক্ত সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে গ্রেফতার গ্রেফতারের চেস্টা চলছে বলে জানিয়েছেন মেট্রোপলিটন পুলিশের কর্মকর্তারা।
নিহত নারী বরিশাল অঞ্চলের নয় বলে প্রাথমিকভাবে ধারনা পুলিশের।
নিউজ টোয়েন্টিফোর/নাজিম