সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের পাঠশালার ঘর ভেঙে দিয়েছে দুষ্কৃতকারীরা

সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের পাঠশালার ঘর ভেঙে দিয়েছে দুষ্কৃতকারীরা

অনলাইন ডেস্ক

ভারতের কলকাতার মানিকতলা খালপাড়ে ৩০ এ ক্যানাল ইস্ট রোডে ২০১৬ থেকে গত পাঁচ বছর ধরে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের নিয়ে পাঠশালা চালায় ভাষা ও চেতনা সমিতি। পাঠশালাটি সার্বিক পরিচালনায করেন প্রাক্তন সাংবাদিক অধ্যাপক ইমানুল হক।

২০ জন ছাত্র-ছাত্রী নিয়ে শুরু হয়েছিল, এখন বেড়ে ২১১ জন শিশু কিশোর কিশোরী ওই পাঠশালায় পড়ে। তাদের খাবার ও পোশাক দেওয়া হয় বিনামূল্যে।

আরও দেওয়া হয় বইখাতা। ফলে স্কুল ছুট/ ড্রপ আউট এখন শূন্য। আগে ১২-১৩ বছর বয়সে বিয়ে হয়ে যেতো।  

আরও পড়ুন:


খুলনায় ট্রিপল মার্ডারের ৩ আসামি ৫ দিনের রিমান্ডে


বর্তমানে বাল্যবিবাহ বন্ধ।

নেশা করা প্রায় বন্ধ। এখন লকডাউনে পড়ানো সমস্যা। রাস্তার ওপর সবাইকে পড়ানো সম্ভব নয়, তাই শ্রেণি ভাগ করে শিশু শিশুদের অনলাইনে ক্লাসের জন্য ঘর বানানো হচ্ছিল।  

যেখানে ঘর বানানো হচ্ছিল তার পিছনের ঘরে, স্থানীয় এক দুষ্কৃতীর মদতে একজন চোলাই মদের ব্যবসা চালায়। পড়ার ঘর হলে মদের ব্যবসা থেকে রোজগার বন্ধ হয়ে যাবে এই আশঙ্কায় নির্মীয়মান ঘর ভেঙে দিয়েছে ওই দুষ্কৃতীকারীরা ও তার এক পাতাখোর সঙ্গী।

এতে ক্ষতি হচ্ছে। ওই ব্যক্তি নিজের ব্যক্তিগত স্বার্থে মানুষের ক্ষতি করছে। শাসকদলের বদনাম করছে। বারবার শিবির পাল্টায় এই দুষ্কৃতীকারীরা। সাম্প্রদায়িক উস্কানি দিচ্ছে। তাঁর কথা না শুনলে বসতি তুলে দেবে হুঙ্কার দিয়েছে।

আমরাও জানিয়ে দিয়েছি, হিন্দু মুসলমান ওখানে বাঙালি বিহারি ওড়িয়া ওখানে পাশাপাশি শান্তিতে বসবাস করে। আর ২০০১ খ্রিস্টাব্দে ওই বসতি তুলে দেওয়ার চেষ্টা যারা করেছিলেন, তাদের হতাশ হতে হয়েছিল।

এর প্রতিবাদে অসংখ্য মানুষ জমায়েত হন। বিশেষ করে মহিলারা।  

সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের অনলাইনে পড়ার জন্য ও কম্পিউটার শেখানোর জন্য ভাষা ও চেতনা সমিতি যাতে কাজ চালিয়ে যেতে পারে তার জন্য তাদের পাশে থাকার অনুরোধ জানিয়েছেন।

news24bd.tv কামরুল