ভারতের এক গরীব পরিবারে জন্ম মোহাম্মদ সিরাজের। বাবা মোহাম্মদ ঘাউসের স্বপ্ন ছিলো ছেলে একদিন ক্রিকেটার হবে। সৌভাগ্যবশত ছেলে এখন ভারতীয় ক্রিকেট দলের অংশ। কিন্তু, নিয়তির পরিহাসে বাবা আর বেচেঁ নেই।
ভারতের জাতীয় ক্রিকেট দলে সুযোগ পাওয়া ছেলের প্রথম সিরিজেই বাবা না ফেরার দেশে চলে যান। ছেলে বাবার মৃত্যুর খবর শুনেই দেশে ফিরে আসতে চাইলেও মায়ের নির্দেশে থেকে যান অস্ট্রেলিয়াতে। সিরিজে সেরা উইকেট শিকারী হন সিরাজ।
প্রথম টেস্টে ভারতের ৩৬ রানের লজ্জার পর দ্বিতীয় টেস্টেই ভারতের হয়ে অভিষেক হয় সিরাজের।
ক্যাটারিং ও ফটোগ্রাফি ব্যবসায়ও করোনার হানা
বান্ধবীদের কাছেই পিকে হালদারের ৮৬৭ কোটি টাকা
দেশে ফিরেই বাবার কবর জিয়ারত করতে যান। সেই চবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ভক্তদের হৃদয়ও স্পর্শ করে। দেশে ফিরে আসেন ছেলে বীরের বেশে। কিন্তু বাবা যে আর নেই।
সিরাজ আবারো আলোচনায় এসেছেন নতুন গাড়ি কিনে। বিএমডব্লিউ গাড়ি কিনে সেই ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। বাবা অটোচালক ছিলো। তবে, ছেলে এখন বিএমডব্লিউর মালিক।
উল্লেখ্য, ভারতের হায়দরাবাদের অত্যন্ত দরিদ্র পরিবার থেকে উঠে এসেছেন এই পেসার। বাবা মোহাম্মদ ঘাউস ছিলেন অটোচালক। কিন্তু ছেলের ক্রিকেট খেলার স্বপ্নে কোনওদিন বাধা দেননি। ক্রিকেট কোচিংয়ে ভর্তি করার টাকা ছিল না অটোচালক বাবার।
কিন্তু সিরাজ ঠিকই ভর্তি হতে পেরেছিলেন প্রতিভার ঝলক দেখিয়ে। অনুশীলনে যেতে বাবার কাছ থেকে প্রতিদিন হাতখরচ পেতেন ৭০ রুপি। যাতায়াত, খাওয়াদাওয়া—সব এর মধ্যেই। ওদিকে এই টাকায় স্কুটির তেলের খরচ জোটাতেই হাঁসফাঁস উঠে যেত সিরাজের।
news24bd.tv/আয়শা