বিশ্বনবী সালাতুত তাসবিহ পড়তে বলেছেন যেভাবে

বিশ্বনবী সালাতুত তাসবিহ পড়তে বলেছেন যেভাবে

অনলাইন ডেস্ক

পাঁচ ওয়াক্ত সালাতের চেয়ে একটু আলাদা সালাতুত তাসবিহ’র নামাজ। যে নামাজে বার বার ‘সুবহানাল্লাহি ওয়াল হামদুলিল্লাহি ওয়া লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার’ তাসবিহটি পড়া হয়, ওই নামাজকে সালাতুত তাসবিহ বা তাসবিহ-এর নামাজ।

এ নামাজের অনেক ফজিলত। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এ নামাজের ফজিলত তাঁর চাচা হজরত আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহুকে বর্ণনা করে শোনান।

দীর্ঘ হাদিসটি তুলে ধরা হলো-

হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, ‘একদিন প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম (আমার পিতা) হজরত আব্বাস ইবনে আবদুল মুত্তালিবকে বললেন, ‘হে আব্বাস! হে চাচাজান! আমি কি আপনাকে দেব না? আমি কি আপনাকে দান করব না? আমি কি আপনাকে সংবাদ দেব না? আমি কি আপনার সাথে দশটি সৎকাজ করব না? (অর্থাৎ দশটি উত্তম তাসবিহ শিক্ষা দেব না)

যখন আপনি তা (আমল) করবেন তখন আল্লাহ তাআলা আপনার আগের, পরের, পুরাতন, নতুন, সব প্রকার গোনাহ, ইচ্ছাকৃত ও অনিচ্ছাকৃত গোনাহ, সগিরা গোনাহ, কবিরা গোনাহ, গুপ্ত ও প্রকাশ্য গোনাহ মাফ করে দেবেন।

আপনি চার রাকাআত নামাজ পড়বেন এবং প্রত্যেক রাকাআতে সূরা ফাতেহা পাঠ করবেন এবং যে কোনো একটি সূরা মেলাবেন। (অর্থাৎ প্রত্যেক রাকাআতে এ তাসবিহটি ৭৫ বার করে আদায় করতে হবে। )

নামাজের যে সব স্থানে এ তাসবিহ পাঠ করতে হবে।

তাহলো-
প্রথম রাকাআতে সুরা ফাতিহার সঙ্গে সুরা মিলানোর পর রুকুর আগে দাঁড়ানো অবস্থায়
سُبْحَانَ اللهِ وَالْحَمْدُ لِلهِ وَلَا اِلهَ اِلَّا اللهُ وَاللهُ اَكْبَرُ
(সুবহানাল্লাহি ওয়াল হামদুলিল্লাহি ওয়া লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার) ১৫ বার।

অতঃপর রুকুর তাসবিহ-এর পর রুকু অবস্থায় (এ তাসবিহ) ১০ বার।
তারপর রুকু থেকে সোজা হয়ে দাঁড়ানো অবস্থায় (এ সাতবিহ) ১০ বার।
অতঃপর সেজদার তাসবিহ-এর পর মাথা নত করবেন এবং সেজদাবস্থায় (এ তাসবিহ) ১০ বার।
তারপর দুই সেজদার মাঝে বসে (এ তাসবিহ) ১০ বার।
অতঃপর পুনরায় দ্বিতীয় সেজদায় ১০ বার এবং
পুনরায় সেজদা থেকে মাথা ওঠিয়ে ১০ বার। মোট প্রত্যেক রাকাআতে ৭৫ বার করে ৪ রাকাআতে মোট ৩০০ বার এ তাসবিহ পাঠ করা।

আরও পড়ুন:


মেট্রোরেল-৫ এর মাটি পরীক্ষার কাজ শুরু

ওমানে সড়ক দুর্ঘটনায় ৫ বাংলাদেশি নিহত

খুলনায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৩

কালিয়াকৈরে ট্রাকচাপায় দুই নারী শ্রমিক নিহত


(হে চাচা!) এভাবে যদি প্রতিদিন একবার এ নামাজ পড়তে সক্ষম হন; তবে তা পড়বেন। আর যদি সক্ষম না হন, তবে প্রত্যেক জুমআর দিনে একবার পড়বেন।

তাও যদি না পারেন তবে প্রত্যেক মাসে একবার পড়বেন। তাও যদি না পারেন তবে প্রত্যেক বছর একবার পড়বেন, আর যদি তাও না পারেন তবে আপনার জীবনে অন্তত একবার পড়বেন। (তিরমিজি, আবু দাউদ, ইবনে মাজাহ, মিশকাত)

এ হলো ফজিলতপূর্ণ সর্বাধিক তাসবিহ সম্বলিত নামাজ ‘সালাতুত তাসবিহ’। আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে তাসবিহ নামাজসহ যে কোনো নামাজ এবং ইবাদত-বন্দেগি যথাযথ আদায় করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

news24bd.tv আহমেদ