গ্রিলের তালা ভেঙে বাড়িতে ঢুকেই গৃহকর্তা আবুল হাসেমকে (৭৫) কুপিয়ে জখম করে একদল ডাকাত। পরে ওই বৃদ্ধ ও তার স্ত্রীকে বেঁধে লুট করে স্বর্ণালঙ্কার ও টাকা। এমনকি ওই ডাকাতদল তাদের বেঁধে রেখেই নিজেদের মধ্যে করে ভাগাভাগি। সময় নেয় মাত্র ১৫ মিনিট।
আরো অভিযোগ, ভাগাভাগি শেষে ডাকাতেরা ফ্রিজ থেকে পানি বের করে পান করে। এরপর আস্তে ধীরে বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়।
আবুল হাসেম উপজেলার মুখী মমজান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক।
পাগলা থানা পুলিশ বলছে ডাকাতির কোনো ঘটনা ঘটেনি। চুরিতে বাঁধা দেয়ার কারণেই আবুল হাসেমকে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে।
আবুল হাসেমের ছেলে নজরুল ইসলাম জানান, ‘মঙ্গলবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে ৮-১০ জনের মুখোশধারী ডাকাত দল আমাদের গ্রামের বাড়িতে হানা দেয়। তারা ঘরের দরজা ভেঙ্গে প্রবেশ করে দেশীয় অস্ত্রের মুখে পরিবারের সবাইকে জিম্মি করে নগদ ৪০হাজার টাকা, দেড় লাখ টাকার স্বর্নালঙ্কার ও অন্যান্য মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। ডাকত দলকে বাঁধা দিলে আমার বাবাকে রাম দা দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। ’
তিনি জানান, ‘আমি ঘটনা শুনে উপজেলা সদর থেকে রাত সাড়ে তিনটার দিকে বাড়ি ফিরি। পরে বাবাকে নিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যাই। সেখানে চিকিৎসা শেষে বুধবার সকালে বাবাকে নিয়ে বাড়ি ফিরি। ’
পাগলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোখলেছুর রহমান আকন্দ বলেন, ‘এটা ডাকাতি নয়। চুরি করার সময় দেখে ফেলায় গৃহকর্তাকে জখম করা হয়। এসআই আব্বাসকে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ’
নোমান/অরিন/নিউজ টোয়েন্টিফোর