ইমামের সঙ্গে পরকীয়ার জেরে স্বামীকে হত্যা করা সেই আসমার সম্পর্কে বেড়িয়ে আসছে আরও সব চাঞ্চল্যকর তথ্য। রাজধানীর দক্ষিণখানের সরদার বাড়ি জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা আব্দুর রহমানের সঙ্গে পরকীয়ার আগেও দুই পরকীয়া ও বিয়ে ছিলো আসমার।
আমসা যে স্বামী আজহারকে হত্যা করেছেন মূলত তার সঙ্গেও পরকীয়া করেই বিয়ে হয়েছিলো তার। এছাড়াও আজহারের সঙ্গে বিয়ের আগে আরো তিনটি বিয়ে ছিল আসমার।
রাজধানীর দক্ষিণখানে নৃশংসভাবে হত্যার শিকার আজহারের গ্রামের বাড়ি টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার এলেঙ্গা পৌরসভার রাজাবাড়ি গ্রামে গিয়ে পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা যায়। আসমা হত্যার পরিকল্পনার জন্য ইমামের সঙ্গে ৭১ বার মোবাইল ফোনে কথা বলেন বলেও জানা যায় পরিবারসূত্রে।
নিহত আজহারের বাবা জুলহাস উদ্দিন জানান, তার ৫ ছেলে ও দুই মেয়ের মধ্যে আজহারুলকে খুব আদর করতো সবাই। লেখাপড়ায়ও খুব ভালো ছিল।
তিনি জানান, কিন্তু ছয় মাস যেতে না যেতেই তার বাড়ির মেজ বউ আসমা ও তার আরেক ছেলে আজহারুল বাড়ি থেকে উধাও হয়ে যান। পরে তিনি জানতে পারেন সাহাবুদ্দিনকে তালাক দিয়ে আসমা আজহারুলকে বিয়ে করেছে। এরপর থেকে তাদের সঙ্গে আর যোগাযোগ রাখেননি জুলহাস উদ্দিন ও তার পরিবারের লোকজন।
‘হঠাৎ করেই রোজার আগে খবর পান অসুস্থ হয়ে পড়ায় আজহারুলকে হাসাপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পরে তিনি ঢাকায় গিয়ে আজহারুল ও আসমাকে গ্রামের বাড়িতে নিয়ে আসেন। একটু সুস্থ হলে হঠাৎ করেই ১৭ মে আসমা আজহারুলকে ঢাকায় যেতে চাপ দিতে থাকে। এই অসুস্থার মধ্যে ঢাকা যাওয়া নিয়ে আজহারুলকে তার মা কয়েকবার বাধাও দেন। কিন্তু আসমার পীড়াপীড়িতে শেষ পর্যন্ত ঢাকায় রওয়ানা হন আহজারুল।
আরও পড়ুন
ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করবে না কুয়েত, সংসদে বিল পাস মশার কয়েল থেকে আগুন, একই পরিবারের শিশুসহ দগ্ধ ৩ |
আজহারুলের চাচাতো ভাই মো. হাফিজ উদ্দিন জানান, ১৮ মে আজহারুর ঢাকা যাওয়ার পর আসমা তাদের বাড়িতেই ছিলেন। পরদিন বুধবার (১৯ মে) আজহারুলের মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। এরপর আসমা তার বাবা আশরাফ আলীকে নিয়ে ঢাকায় চলে যান। দু’দিন পর তারা দু’জন ফিরে আসেন এবং আশরাফ আলী তার মেয়েকে শ্বশুর বাড়ি রেখে তড়িঘড়ি করে চলে যান। ২৫ মে তারা জানতে পারেন দক্ষিণখানের সরদার বাড়ি জামে মসজিদের সেপটিক ট্যাংক থেকে আজহারুলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। খবর পাওয়ার অ্যাম্বুলেন্সযোগে পরিবারের লোকজন ঢাকায় রওয়ানা হলে রাস্তা থেকেই র্যাব আসমাকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায়। পরে তারা জানতে পারেন এই হত্যার সঙ্গে আসমা ও ইমাম জড়িত।
তিনি জানান, আসমা যে নম্বর দিয়ে ইমামের সঙ্গে কথা বলেছেন সেই সিমকার্ডটি এখনো উদ্ধার হয়নি। তাদের ধারণা আজহারুলকে হত্যার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পরপরই সিমকার্ডটি কোথাও ফেলে দিয়েছেন আসমা আক্তার।
আজহারুলের হত্যার সঙ্গে জড়িত আসমা ও মসজিদের ইমাম মাওলানা আব্দুর রহমানের ফাঁসির দাবি জানিয়েছেন নিহতের পরিবার। সূত্র: কালেরকণ্ঠ।
news24bd.tv আহমেদ