অবৈধ সুদের ব্যাবসা পরিচালনাকারী প্রতারক চক্রের ৫ সদস্য গ্রেপ্তার

Other

ডিজিটাল মাইক্রোফাইন্যান্সের নামে অবৈধ সুদের ব্যাবসা পরিচালনাকারী প্রতারক চক্রের ৫ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি পুলিশ। অনলাইন এ্যাপসের মাধ্যমে খুব সহজে লোন দিয়ে সাধারণ মানুষকে সর্বশান্ত করাই ছিলো এই চক্রের কাজ। লোনের বিনিময়ে মাত্রাতিরিক্ত সুদ গ্রহনের অভিযোগে রাজধানীর ধানমন্ডি থানায় এক মামলার পর বিষয়টি নিয়ে অভিযানে নামে ডিবি। এসময় অনল্যাইন এ্যাপ র‌্যাপিড ক্যাশ, আমার ক্যাশসহ মোট ৬টি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে প্রতারনার প্রমাণ পায় তারা।

 

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ইউটিউবে অনলাইনে খুব সহজে লোন পাওয়ার এমন বিজ্ঞাপন ভুরি ভুরি। করোনা মহামারির মধ্যে বেকার হওয়ার কিংবা নিন্ম আয়ের মানুষের অনেকেই গ্রহন করেন এই অফার। কিন্ত অভিযোগ উঠেছে চকটদার বিজ্ঞাপনে যেমন সহজ লোনের কথা বলা হয় আসলে তা সহজ নই। এই চক্রের ফাঁদে পা দিয়ে সর্বোশান্ত হয়েছেন অনেকে।

 

সম্প্রতি অ্যাপসের মাধ্যমে লোন দিয়ে মাত্রাতিরিক্ত সুদ আদায়সহ নানা অভিযোগে এধরনের ৬টি প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালায় ডিবি। প্রতারণার দায়ে প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে ৫ জনকে গ্রেপ্তার করে তারা। এসময় তাদের কাছ থেকে ১টি এলিয়ন গাড়ি, ৯টি মোবাইল ফোন, ৯টি সিমকার্ড, ৪টি ল্যাপটপ ও ৪টি বিভিন্ন ব্যাংকের চেক জব্দ করা হয়।

জানান, এসব প্রতিষ্ঠান পরিচালিত করছে বিদেশী নাগরিকরা। তাদের সহযোগী হিসেবে কাজ করে বাংলাদেশি একটি চক্র। জানান প্রাথমিক ভাবে র‌্যাপিড ক্যাশ, আমার ক্যাশ, ক্যাশ ম্যানসহ ৬টি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রমাণ মিলেছে। কিন্তু এর বাইরেও আরো এমন প্রতিষ্ঠান রয়েছে।

আরও পড়ুন:

দুঃসময়ে শাহরুখের পাশে দাঁড়ালেন সাইমন

ঢাকায় মানুষের কর্মক্ষমতা কমছে: গবেষণা

আ.লীগ নেতার বিরুদ্ধে তাঁতীলীগের নেত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ

আনুশকার শরীরে ‘ফরেন বডি’ ব্যবহারের আলামত মিলল


 

জানান, এসব প্রতিষ্ঠান ৩ থেকে ৭দিনের জন্য লোদ দিয়ে মাত্রতিরিক্ত সুদ আদায় করে থাকে। যেমন গ্রাহক ৩হাজার টাকার জন্য আবেদন করলে প্রসেসিং ফি বাবদ ৮১০টাকা কেটে রাখা হয়। একসপ্তাহ শেষ হলে গ্রাহককে পরিশোধ করতে হয় ৩হাজার ১৮ টাকা। আবার নির্ধারিত সময় টাকা পরিশোধ করতে না পারলে প্রতিদিন হিসাবে উচ্চহারে সুদ দিতে হয়। এভাবে সর্বশান্ত হন গ্রাহক।

news24bd.tv/আলী