ইউপি নির্বাচন: আ. লীগ প্রার্থীর কার্যালয়ে ভাঙচুর-আগুন, পেট্রোল বোমা উদ্ধার

ইউপি নির্বাচন: আ. লীগ প্রার্থীর কার্যালয়ে ভাঙচুর-আগুন, পেট্রোল বোমা উদ্ধার

অনলাইন ডেস্ক

ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কুমিল্লার মেঘনা উপজেলার মানিকারচর ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থীর কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনার পরপরই মানিকারচর বাজারের একটি মসজিদের পাশে একটি পরিত্যক্ত জায়গা থেকে ৫টি পেট্রোল বোমা উদ্ধার করে পুলিশ।

গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে ইউনিয়নের দড়ি উত্তর বাউশিয়া গ্ৰামে নৌকার নির্বাচনী কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। এই ইউনিয়নে দ্বিতীয় ধাপে আগামীকাল বৃহস্পতিবার (১১ নভেম্বর) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী জাকির হোসেনের অভিযোগ, এই হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটিয়েছে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আনারস প্রতীকের হারুন অর রশিদের কর্মী ও সমর্থকরা। তবে হামলার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন বিদ্রোহী প্রার্থীর ভাই।

নৌকার প্রার্থীর কার্যালয়ে হামলার ঘটনায় মেঘনা থানায় পৃথক দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। নৌকার প্রার্থীর কর্মী মো. ওয়াসিম বাদী হয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী হারুন অর রশিদের কর্মী ও সমর্থকদের আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন।

আর অপর মামলাটি পেট্রোল বোমা উদ্ধারের ঘটনায় মেঘনা থানার পুলিশ বাদী হয়ে করেছেন।  

আওয়ামী লীগের প্রার্থী জাকির হোসেন বলেন, নির্বাচনকে প্রভাবিত করার জন্য এবং পেশিশক্তি ব্যবহার করে নৌকার বিদ্রোহী প্রার্থী হারুন অর রশিদের কর্মী, সমর্থকরা গভীর রাতে আমার নির্বাচনী অফিসে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছেন। এই ঘটনায় জড়িত সকল অভিযুক্তকে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান তিনি।

আর এ ব্যাপারে বিদ্রোহী প্রার্থী হারুন অর রশিদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি। তবে তার ভাই জানিয়েছেন এসব ঘটনার সঙ্গে আমাদের কোনো নেতাকর্মী জড়িত না। আমার ভাই নৌকার বিপক্ষে না বিতর্কিত ওই প্রার্থীর বিপক্ষে নির্বাচন করছেন। আমার ভাইকে বিতর্কিত করতে জাকিরের লোকেরাই এমন ঘটনা ঘটিয়েছে।

আজ বুধবার সকালে মেঘনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মজিদ জানান, নৌকা প্রার্থীর অফিসে হামলা ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের এবং পেট্রোল বোমা উদ্ধার ঘটনায় পৃথক দুটি মামলা হয়েছে। আমরা ঘটনাগুলো তদন্ত করে দেখছি।

আরও পড়ুন


রহস্য আর যৌনতায় ভরা ‘মন্দার’র ট্রেলার (ভিডিও)

news24bd.tv এসএম