পটুয়াখালীর সদর উপজেলার বড় বিঘাই ইউনিয়নে নৌকা প্রতিকের চেয়ারম্যান প্রার্থীর মোটরসাইকেল চালক মাসুদ রানা হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ।
বুধবার (২৪ নভেম্বর) বেলা ১১টায় পটুয়াখালী জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান অনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনের মধ্যমে হত্যার বিষয়টি স্পষ্ট করেন।
এ সময় মাহফুজুর রহমান জানান, গত ৬ নভেম্বর রাতে হত্যাকাণ্ডের ৫ ঘণ্টা পর পুলিশ ৪ জনকে গ্রেফতার করে। গ্রেপ্তারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, নির্বাচনকালীন সময় রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের জন্য চেয়ারম্যান প্রার্থী মজনু মোল্লার সমর্থক মাসুদ রানাকে হত্যা করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামি আল আমিন ইতিমধ্যে ঘটনার সাথে জড়িত থাকার দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধরায় জবানবন্দি প্রদান করেছেন। এছাড়া হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত গত ১১ নভেম্বর বিল্লাল হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়। বিল্লালের দেয়া তথ্যানুযায়ী মাসুম বিল্লাহকে গত ২৩ নভেম্বর ঢাকায় পালিয়ে যাওয়ার পথে মির্জাগঞ্জ থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এছাড়াও মাসুম বিল্লাহর তথ্য মতে বড় বিঘাই ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ওয়াহিদুজ্জামান মজনু মোল্লার বাড়ির পুকুর থেকে হত্যায় ব্যবহৃত একটি চাইনিজ কুড়াল, লোহার রডের সাথে স্ক্রু সংযুক্ত চেইন গিয়ারের সমন্বয়ে তৈরীকৃত দেশীয় অস্ত্র এবং দুটি বটি দা উদ্ধার করা হয়।
একাধিক সূত্র জানায়, গত ১১ নভেম্বর নির্বাচনের দিন দুপুর থেকে হঠাৎ করেই বড় বিঘাই ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান এবং নৌকা প্রতীক নিয়ে পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী ওয়াহিদুজ্জামান মজনু মোল্লা পলাতক রয়েছেন। হত্যাকান্ডের শিকার মাসুদ রানা মজনু মোল্লার ব্যক্তিগত মোটরসাইকেল চালক হিসেবে কাজ করতো এবং নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা চালাতো।
গত ১১ নভেম্বর ২য় ধাপে বড় বিঘাই ইউনিয়ন পরিষদসহ জেলায় ১৯টি ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচনে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন
নটরডেমের শিক্ষার্থীর মৃত্যু: সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ
news24bd.tv এসএম
