জি-৭ জোটের নেতাদের পাত্তা দিচ্ছেন না মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সম্মেলন শুরুর আগে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ ও কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর সঙ্গে কথার লড়াইয়ে জড়িয়েছেন তিনি।
এরই জেরে খামখেয়ালি এ প্রেসিডেন্ট সম্মেলনের জলবায়ু ও পরিবেশ ইস্যুতে আলোচনা বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে ছাড়াই চুক্তির ইঙ্গিত দিয়েছেন জি-৭ ভুক্ত বাকি দেশগুলোর সরকার প্রধানরা।
শিল্পোন্নত দেশগুলোর শীর্ষ নেতৃত্বের এ গুরুত্বপূর্ণ সম্মেলনের আগে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ইউরোপীয় সরকার প্রধানদের এ বাদানুবাদ দু’পক্ষের মধ্যে টানাপড়েন আরও বাড়াবে বলে ধারণা পর্যবেক্ষকদের।
শুক্রবার থেকে কানাডার কুয়েবেকে শিল্পোন্নত ৭ দেশ দুই দিনব্যাপী জি-৭ সম্মেলন শুরু হয়েছে। জি-৭ ভুক্ত সাত দেশ যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, ফ্রান্স, জাপান, জার্মানি ও ইতালি বিশ্বের ৬০ শতাংশ অর্থনীতি নিয়ন্ত্রণ করে।
অ্যালুমিনিয়াম ও ইস্পাতের ওপর শুল্কারোপ করে এখন ইউরোপীয় মিত্রদের সমালোচনার মুখে ট্রাম্প।
ট্রাম্পের সঙ্গে ম্যাক্রোঁ ও ট্রুডোর কথার লড়াইয়ের পর হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, সম্মেলনে জলবায়ু ইস্যুতে আলোচনায় অংশ নেবেন না প্রেসিডেন্ট। তার পরিবর্তে এক প্রতিনিধি অংশ নেবেন।
ইউরোপীয় দেশগুলোর নেতারা বলেছেন, বাধ্য হলে ট্রাম্পকে ছাড়াই নিজেদের মধ্যে চুক্তি করবেন তারা। মার্কিন প্রেসিডেন্ট যদি ‘বিচ্ছিন্ন থাকতে চান’ তাহলে বাকিরা নিজেদের মধ্যে চুক্তিতে পৌঁছাতে পারে বলে মন্তব্য করেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ।
টুইটারে তিনি লিখেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র ছাড়া বাকি ছয় দেশ প্রতিনিধিত্ব করে মূল্যবোধের, প্রতিনিধিত্ব করে এমন এক অর্থনৈতিক বাজারের যার ইতিহাসের ওজন আছে। এরা (ছয় দেশ) এখন একটি সত্যিকারের আন্তর্জাতিক শক্তি। ’
উত্তাপ ছড়িয়েছেন আয়োজক দেশের প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোও। অ্যালুমিনিয়াম ও ইস্পাতের ওপর শুল্কারোপের কারণ হিসেবে ট্রাম্পের ‘জাতীয় নিরাপত্তার’ দোহাইকে ‘হাস্যকর’ হিসেবে অভিহিত করেছেন তিনি।
সূত্র: বিবিসি, দ্য ইনডিপেনডেন্ট
অরিন/নিউজ টোয়েন্টিফোর
