বর্তমান কূটনীতি হবে বাণিজ্য ও অর্থ সংক্রান্ত: প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

বর্তমান কূটনীতি হবে বাণিজ্য ও অর্থ সংক্রান্ত: প্রধানমন্ত্রী

অনলাইন ডেস্ক

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ২৩টি দেশের সঙ্গে বাণিজ্য প্রসারে আমাদের সমীক্ষা শেষ করেছি। নানা ধরনের চুক্তি তাদের সঙ্গে আমরা করবো। ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ও পণ্যের গুনগত মান বাড়াতে গবেষণার উদ্যোগ নিতে হবে। বর্তমান কূটনীতি হবে বাণিজ্য ও অর্থ সংক্রান্ত।

শনিবার (১ জানুয়ারি) সকাল সোয়া ১১টার দিকে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে ২৬তম বাণিজ্য মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন তিনি। এসময় আইসিটি পণ্য ও সেবাকে ‘প্রডাক্ট অফ দ্যা ইয়ার ২০২২’ ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী। প্রথমবারের মতো রাজধানীর পূর্বাচলে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে শুরু হল মাসব্যাপী এ মেলা।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, গত দুই বছরে সমগ্র বিশ্ব ভয়ানক কোভিড-১৯ মহামারির সম্মুখীন হয়েছে, যা কার্যত ব্যবসা-বাণিজ্যের গতি কমিয়ে দিয়েছে।

কিন্তু, তারপরও আমাদের সরকারের সময়োপযোগী ও সুচিন্তিত সিদ্ধান্ত গ্রহণের মাধ্যমে ব্যবসায়িক কার্যক্রম চলমান রাখা হয়েছে এবং প্রণোদনা প্যাকেজ দিয়ে রপ্তানি বাণিজ্য কার্যক্রমের গতিশীলতা বজায় রাখা হয়েছে।

শেখ হাসিনা আরও বলেন, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এবং জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকীর মাহেন্দ্রক্ষণে তিনি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন যে, ডিআইটিএফ-২০২২ স্থানীয় ও বিদেশি উৎপাদনকারী ও ক্রেতাদের মধ্যে গভীর আগ্রহ এবং উদ্দীপনা সৃষ্টি করতে সক্ষম হবে।

সরকারপ্রধান বলেন, “আমরা দেশকে ২০৪১ সালের মধ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত ও উন্নত-সমৃদ্ধ স্বপ্নের ‘সোনার বাংলাদেশে’ পরিণত করতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি। এজন্য অর্থনৈতিক কর্মকান্ডের ব্যাপক সম্প্রসারণ প্রয়োজন। এ মেলা বাণিজ্য সম্প্রসারণ, পণ্য বহুমুখীকরণ, বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে এবং দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারবে বলে আমি মনে করি। ’

শেখ হাসিনা বলেন, মেলাটি দেশি-বিদেশি উদ্যোক্তাদের তাঁদের পণ্যের প্রতিযোগিতামূলক সুবিধাদি এবং নতুন উদ্ভাবন সম্পর্কে ক্রেতাদের অবহিত করার সুযোগ সৃষ্টি করবে। একই সঙ্গে ক্রেতারাও এ বৃহৎ আয়োজন থেকে প্রতিযোগিতামূলক মূল্যে পণ্য ক্রয়ের সুবিধা পাবেন। এ মেলায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে দেশি উদ্যোক্তারা প্রয়োজন অনুযায়ী তাঁদের পণ্যের মান উন্নয়নে তৎপর হবেন এবং আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে স্থানীয় পণ্যকে প্রতিযোগিতা করতে সক্ষম করার প্রয়াস পাবেন।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, আমরা সরকারে এসে প্রতিটি পণ্য বেসরকারিভাবে উন্মুক্ত করে দেই। এমনকী মোবাইল ফোন বেসরকারিভাবে উন্মুক্ত করে দেই। কম্পিউটার শিক্ষা দেওয়া ও ব্যবহারের উদ্যোগ আমরা নিয়েছিলাম। আমাদের দেশটা যেন শিল্প-বাণিজ্যে এগিয়ে যেতে পারে, উৎপাদন বাড়াতে পারে, সে উদ্যোগ নিয়েছি। বিশেষ করে নিজস্ব বাজার তৈরিতে আমরা মনোনিবেশ করি। কারণ শিল্পায়নের ব্যাপক প্রসার ঘটবে নিজস্ব বাজার তৈরি হলে।

তিনি বলেন, একটা স্থায়ী মেলার ব্যবস্থা করে দিয়েছি। প্রথম অনুষ্ঠান করছেন, কিছু কিছু সমস্যা থাকতে পারে। আমি তো কাঠামো করে দিয়েছি, বাকিগুলো আপনারা (ব্যবসায়ী) সমাধান করে নেন। এই মেলার ফলে পণ্যের চাহিদা জানা ও সে আলোকে পণ্য তৈরি ও বাজারজাতকরণের আইডিয়া পাওয়া যাবে। পাশাপাশি অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর মধ্যে সৌহার্দ্য ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক বৃদ্ধি করবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।

আরও পড়ুন


পূর্বাচলে মাসব্যাপী বাণিজ্যমেলার উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

news24bd.tv এসএম