লজ্জায় ধর্ষণের শিকার কিশোরীর বিষপানে মৃত্যু, অতঃপর...

ফাইল ছবি

লজ্জায় ধর্ষণের শিকার কিশোরীর বিষপানে মৃত্যু, অতঃপর...

অনলাইন ডেস্ক

শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে লজ্জায় ধর্ষণের শিকার এক কিশোরী বিষপান করে। এর ১২ দিন পর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে তার। শুক্রবার (৭ জানুয়ারি) ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই কিশোরী মারা যায়।

এ ঘটনায় শনিবার (৮ জানুয়ারি) অভিযান চালিয়ে প্রধান আসামি নাজমুলকে গ্রেপ্তার করা না গেলেও তার ভাই সুলতান মিয়া ও লাল মিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

পরে আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।

অভিযুক্ত নাজমুল শেরপুর সদর উপজেলার চান্দেরনগর গ্রামের চাঁন মিয়ার ছেলে। তিনি কুত্তামারা গ্রামে ড্রেজার দিয়ে মাটিকাটার কাজ করেন।

কিশোরীর বাবা জানান, ঢাকার একটি পোশাক কারখানায় কাজ করেন তার স্ত্রী।

গত ১৬ নভেম্বর রাত সাড়ে ১১টার দিকে মেয়েকে ঘরে একা রেখে পাশের বাজারে চা পান করতে যান তিনি। এ সময় নাজমুল জোর করে তার মেয়েকে ধর্ষণ করেন। এতে কিশোরী কান্না শুরু করলে নাজমুল পালিয়ে যান।

তিনি আরও জানান, এই ঘটনায় পুলিশের আশ্রয় নিতে চাইলে স্থানীয় লোকজন তাকে বাধা দেয় এবং স্থানীয়ভাবে মীমাংসার উদ্যোগ নেয়। মেয়ের কথা চিন্তা করে তাদের সিদ্ধান্তই মেনে নেন সে। একপর্যায়ে বিষয়টি ছড়িয়ে পড়লে মেয়েটিকে কটু কথা বলতে থাকেন স্থানীয়রা। এ অপমান সইতে না পেরে গত ২১ ডিসেম্বর মেয়েটি বিষপান করে। প্রথমে তাকে নালিতাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলে তাকে বাড়ি নিয়ে আসা হয়। পরদিন অবস্থার অবনতি হলে আবারও তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৭ জানুয়ারি সে মারা যায়।

মেয়েটির বাবা বলেন, গত ২ জানুয়ারি থানায় মামলা করি। ৮ জানুয়ারি পুলিশ অভিযান চালিয়ে নাজমুলের দুই ভাই সুলতান মিয়া ও লাল মিয়াকে গ্রেফতার করে।

এ বিষয়ে নালিতাবাড়ী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বছির আহমেদ বাদল জানান, এ ঘটনায় মেয়ের বাবা ধর্ষণ মামলা করলে দুই আসামিকে গ্রেফতারের পর আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। প্রধান আসামিকে গ্রেফতারে অভিযান চলছে।

আরও পড়ুন


বাংলাদেশ আইটি কানেক্ট পোর্টাল-নেদারল্যান্ডসের উদ্বোধন করলেন পলক

news24bd.tv এসএম