ধারালো অস্ত্র ও বোমার আঘাতে আহত যুবলীগ নেতা আরাফাত মুনাফ লিটন (৩২) মারা গেছেন। আজ (২৩ জুন) ভোরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে যশোর থেকে ঢাকায় নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
নিহতের ভাই যশোর সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ইকবাল মুনাফ দিনু সাংবাদিকদের জানান, শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে লিটন ও মিলনসহ যুবলীগের স্থানীয় কয়েকজন নেতা-কর্মী যশোর শহরের ঘোপ আঞ্চলিক যুবলীগ অফিসে বসে ছিলেন।
এ সময় প্রতিপক্ষ গ্রুপের সুমন, আকাশ, কুদ্দুস, ইসরাফিল, রেজোয়ান ও শাকিলসহ ২০-২৫ জন সেখানে আসে এবং অন্যদের সেখান থেকে বের করে দেয়।
এরপর তারা লিটনকে এলোপাথাড়ি ছুরিকাঘাত করে এবং তিনটি বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে এলাকা ত্যাগ করে।হামলার ঘটনায় যুবলীগ কর্মী ফজলুল করিম মিলনও আহত হয়। পরে স্থানীয় লোকজন লিটন ও মিলনকে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে।
তিনি জানান, রাত ১২টার দিকে লিটনকে অপারেশন থিয়েটার থেকে চিকিৎসকরা বের করেন।
নিহত লিটনের মরদেহ যশোর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।
এ ব্যাপারে কোতোয়ালি থানার ইনসপেক্টর (তদন্ত) আবুল বাশার বলেন, ‘আহত যুবলীগ নেতা মারা গেছেন শুনেছি। এ ঘটনায় গত রাতেই একটি মামলা হয়েছে। তবে এখনও কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি’।
রিপন/অরিন/নিউজ টোয়েন্টিফোর