থাইল্যান্ডে গুহার মধ্যে আটকে পড়া কিশোর ফুটবলারদের মধ্যে ছয়জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের উদ্ধারে প্রশিক্ষিত ডুবুরিদের একটি বিশেষজ্ঞ দল কাজ করছে। এদের মধ্যে বেশিরভাগই ইউরোপের।
ওই কিশোর ফুটবলার ও তাদের কোচ আটকে পড়া ওই গুহা নিয়ে অনেক লোক-কাহিনী রয়েছে।
অনেকে আবার ভৌতিক কথাও বলেন।গুহাটি নিয়ে স্থানীয় লোকেরা জানায়, এর নাম কীভাবে ‘থাম লুয়াং- খুন নাম নাং নন’ হলো?
‘থাম লুয়াং- খুন নাম নাং নন’ অর্থ হলো - ‘পাহাড়ের ভেতরে বিশাল এই গুহায় ঘুমিয়ে আছেন একজন নারী। এই পাহাড়েই জন্ম হয়েছে এক নদীর। ’
গল্পটিতে বলা হয়েছে, দক্ষিণ চীনের চিয়াং রুং শহরের এক রাজকন্যা একজন অশ্বারোহী পুরুষের সঙ্গে সম্পর্কের পর গর্ভবতী হয়ে পড়েন।
যখন তারা এই পাহাড়ি এলাকায় এসে পৌঁছান তখন রাজকন্যার স্বামী তাকে বলেন সেখানে বিশ্রাম নিতে। স্বামী খাবারের সন্ধানে বের হলে রাজকন্যার বাবার লোকেরা তাকে দেখতে পায় এবং হত্যা করে।
আরও পড়ুন: যে কারণে গুহায় ঢুকেছিল ক্ষুদে ফুটবলাররা?
রাজকন্যা ওই গুহায় কয়েকদিন অবস্থান করে তার স্বামীর জন্যে। কিন্তু তিনি যখন নিশ্চিত হন তার স্বামী আর ফিরে আসবে না।
তখন নিজের চুলের ক্লিপ পেটে ঢুকিয়ে আত্মহত্যা করেন ওই নারী।
তারপর তার মৃতদেহ তখন একটি পর্বতে পরিণত হয় এবং তার শরীর থেকে যে রক্ত ঝরেছিল সেটা প্রবাহিত হয়ে ‘নাম মায়ে সাই’ নামের এক নদীর জন্ম হয়।
ওই রাজকন্যা ভৌতিক নারী হিসেবে গুহাটিতে অবস্থান করছেন বলে লোক-কাহিনীতে উল্লেখ করা হয়। এছাড়াও আর অনেক ভৌতিক কথা শোনা যায় এ গুহা নিয়ে।
(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)