তৃতীয় বর্ষে পা রাখলো নিউজ টোয়েন্টিফোর

তৃতীয় বর্ষে পা রাখলো বেসরকারি স্যাটেলাইট চ্যানেল নিউজ  টোয়েন্টিফোর

তৃতীয় বর্ষে পা রাখলো নিউজ টোয়েন্টিফোর

নিজস্ব প্রতিবেদক

স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলকে সম্মাননা জানানোর মধ্য দিয়ে তৃতীয় বর্ষে পা রাখলো বেসরকারি স্যাটেলাইট টেলিভিশন নিউজ টোয়েন্টিফোর। ফুটবল দলের সদস্যদের হাতে ক্রেস্ট ও ৫০ হাজার টাকার চেক তুলে দেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু এবং বসুন্ধরা গ্র“পের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান। এসময় উপস্থিত ছিলেন বসুন্ধরা গ্র“পের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান এবং তার পুত্র ওয়ালিদ সোবহান।

আজ শনিবার (২৮ জুলাই, ২০১৮) রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি, বসুন্ধরার (আইসিসিবি) রাজদর্শন হলে এক আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানে স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলকে সম্মাননা জানানোর মধ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর মূল আয়োজন শুরু হয়।

কেক কাটার মধ্য দিয়ে শুরু হয় বর্ষপূর্তি উদযাপন।

এ সময় নিউজ টোয়েন্টিফোরের সিইও নঈম নিজাম, কালের কণ্ঠের সম্পাদক ইমদাদুল হক মিলন, চ্যানেলটির নির্বাহী পরিচালক হাসনাইন খুরশিদসহ নিউজ টোয়েন্টিফোর পরিবারের সকল সদস্য ও প্রতিষ্ঠানটিকে শুভেচ্ছা জানাতে আসা বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।

নিউজ টোয়েন্টিফোরের তৃতীয় বর্ষে পদার্পনে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এরপর শুভেচ্ছা জানান বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, জাতীয় পার্টির মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদারসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও পেশাজীবী সংগঠনের নেতারা।

শুভানুধ্যায়ীদের ভালোবাসায় সিক্ত হয় নিউজ টোয়েন্টিফোর।

উদ্বোধনী বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু চ্যানেলটির সকল কলাকুশলী ও কর্মকর্তাকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তথ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, খুব অল্প সময়েই চ্যানেলটি জনপ্রিয়তা পেয়েছে। স্বল্প সময়ে নিউজ টোয়েন্টিফোর পৌঁছে গেছে মানুষের দোরগোড়ায়। মন কেড়েছে সাধারণ মানুষের। বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহানকে বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রার ‘প্রাণপুরুষ’ আখ্যা দিয়ে মন্ত্রী বলেন, স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলকে সম্মাননা জানাতে নিউজ টোয়েন্টিফোরের এই উদ্যোগ আমাকে সত্যিই মুগ্ধ করেছে। মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় যারা দেশকে স্বাধীন করতে ফুটবলের মাধ্যমে জনমত গড়ে তুলেছেন, তারাও একেক জন মুক্তিযোদ্ধা। মন্ত্রী বলেন, ২০০৯ সাল থেকে প্রায় ১০ বছর শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক ক্ষেত্রে বিষ্ময়কর পরিবর্তন হয়েছে। অর্থনীতিতে ঈর্ষণীয় উন্নতি হয়েছে। এটা ধরে রাখা যাবে কিনা, টেকসই করা যাবে কিনা সেটা প্রশ্ন। এজন্য সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে। তথ্যমন্ত্রী তার বক্তব্যে ৩টি বিষয়ের ওপর জোর দেন। ১. গণতন্ত্রের পাশে থাকা, ২. সাইবার অপরাধ রোধে কাজ করা ও ৩. মুক্ত গণমাধ্যমকে আরও বিকশিত করা। সাইবার নিরাপত্তা ও গণমানুষের অধিকার নিয়ে নিউজ টোয়েন্টিফোর এগিয়ে যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

নিউজ টোয়েন্টিফোর- এর তৃতীয় বর্ষে পদার্পণে সবাইকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান বলেন, ২০১৬ সালে যে লক্ষ্য নিয়ে নিউজ টোয়েন্টিফোর যাত্রা শুরু করেছিল, সে লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছে। চ্যানেলের স্লোগান ছিল- কেবল নিরপেক্ষ সংবাদ প্রচার নয়, আমরা জনগণের কথা বলি। সেই ধারা বজায় রেখে নিউজ টোয়েন্টিফোর দেশের ঘরে ঘরে পৌঁছে গেছে। মানুষের সমস্যা তুলে ধরছে। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ আমাদের চ্যানেল দেখছে। মিডিয়ার সাথে যুক্ত সবার পরিশ্রমেই এটি সম্ভব হয়েছে। আমি স্বপ্ন দেখেছিলাম, মানুষের জন্য কিছু করার। সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আমি নিউজ টোয়েন্টিফোরের উন্নতি ও সমৃদ্ধি কামনা করছি।  দারিদ্র বিমোচন, অগ্রযাত্রার স্বপ্ন, দেশের মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষা তুলে ধরার প্রত্যাশা নিয়ে দীর্ঘজীবী হোক এই গণমাধ্যম।

দীর্ঘদিন ধরে দেশের সূর্য সন্তানদের নানাভাবে সাহায্য-সহযোগিতা ও সম্মাননা দিয়ে আসছে বসুন্ধরা গ্রুপ। এর আগে গ্রুপের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ প্রতিদিনের উদ্যোগে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের আজীবন সম্মাননা দেওয়া হয়। এরই ধারাবাহিকতায় এবার স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলকে সম্মাননা প্রদান করা হলো। আর এজন্য বেছে নেওয়া হয় গ্রুপের মালিকানাধীন স্যাটেলাইট চ্যানেল নিউজ টোয়েন্টিফোরের জন্মদিনকে।

অনুষ্ঠানে স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সদস্যদের হাতে সম্মানসূচক ক্রেস্ট ও নগদ অর্থ তুলে দেওয়া হয়। সর্বপ্রথম সম্মাননা গ্রহণ করেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সভাপতি ও স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের অন্যতম সদস্য কাজী সালাউদ্দিন। এরপর একে একে সম্মাননা গ্রহণ করেন অধিনায়ক জাকারিয়া পিন্টু, সহ-অধিনায়ক প্রতাপ শঙ্কর সাহা, সাইদুর রহমান প্যাটেল, মো. কায়কোবাদ, এ কে এম নওশেরউজ্জামান, আবদুস সাত্তার মিয়া, আমিনুল ইসলাম সুরুজ, বিমল কর, শেখ তসলিমুদ্দিন, মো. লুৎফর রহমান, ফজলে সালেহ মৃধা, শেখ আশরাফ আলী, বীরেন দাস বীরু। অসুস্থতার কারণে আসতে পারেননি এই দলের আরেক সদস্য সুভাষ সাহা। তার পক্ষে সম্মাননা গ্রহণ করেন আব্দুস সাত্তার।  

এরপর নিউজ টোয়েন্টিফোরকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন সামাজিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক, ব্যবসায়িক, ক্রীড়া, আইন-শৃঙখলা বাহিনীসহ সকল অঙ্গনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও নেতৃবৃন্দ। তারা নিউজ টোয়েন্টিফোরের উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করেন।

শুভেচ্ছা বক্তব্যে চ্যানেলটির প্রধান নির্বাহী নঈম নিজাম বলেন, আমাদের চ্যানেলটি আজ তৃতীয় বছরে পদার্পণ করলো। এই দিনে আগত অতিথিবৃন্দ, বসুন্ধরা গ্রুপের শ্রদ্ধেয় চেয়ারম্যান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, সকল কর্মকর্তা-কর্মচারি ও শুভাকাঙ্ক্ষিদের শুভেচ্ছা জানাই। আজকের এই দিনে সবচেয়ে বড় বিষয়- আমরা আজ যাদেরকে সম্মাননা জানাবো তারা স্বাধীন বাংলা ফুটবল টিমের শ্রদ্ধেয় সদস্য। আপনারা দেশের সূর্যসন্তান। আপনারা মুক্তিযুদ্ধের সময় মুক্তিযোদ্ধাদের অনুপ্রাণিত করার জন্য  ভূমিকা রেখেছিলেন। আপনাদের আমন্ত্রণ জানানোর পর আপনারা আমাদের আমন্ত্রণে যেভাবে সাড়া দিয়েছেন, তার জন্য আমরা কৃতজ্ঞ। আমাদের হৃদয়ে মুক্তিযুদ্ধ। আমরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধরে রেখে এগিয়ে চলেছি। বসুন্ধরা গ্রুপের শ্রদ্ধেয় চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহানের অনুপ্রেরণায় মিডিয়ার প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকেই আমরা এ ধরনের সম্মাননা দিয়ে আসছি। এর আগে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের এই সম্মাননা দেওয়া হয়েছে। এটা তার অংশ। আজ চ্যানেলের জন্মদিনে আমি সবার কাছে আশীর্বাদ ও দোয়া চাই, যেন আমাদের পথচলাকে সমুন্নত রাখতে পারি। ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়ার সবাইকে সাথে নিয়েই আমরা এগিয়ে যেতে চাই।

কালের কণ্ঠের সম্পাদক ইমদাদুল হক মিলন তার বক্তব্যে বলেন, নিউজ টোয়েন্টিফোর আমাদের ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া পরিবারের অন্যতম সদস্য। বিশ্বের ১৭০টি দেশের মানুষ আজ নিউজ টোয়েন্টিফোর দেখছেন। একটি মিডিয়া মাত্র ২ বছরে বিশ্বের এতোগুলো দেশে পৌঁছে যাওয়া শুধু এদেশেরই নয়, পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল। আসলে, স্বপ্ন সবাই দেখে। কিন্তু কম মানুষই তা বাস্তবায়ন করতে পারেন। বসুন্ধরা গ্রুপের শ্রদ্ধেয় চেয়ারম্যান শুধু স্বপ্ন দেখেই বসে থাকেননি, তিনি তা বাস্তবায়ন করে দেখিয়েছেন। তিনি নির্দেশ দিয়েছিলেন, দেশের আনাচে-কানাচে থেকে অবহেলিত ও অভাব-অনটনে দিন যাপন করা মুক্তিযোদ্ধাদের খুঁজে বের করতে। এটা করতে আমাদের এক বছর সময় লেগেছিল। অবশেষে আমরা  ৩০ জন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে সম্মাননা প্রদান করেছি। এবার স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলকে সম্মাননা  জানানো হচ্ছে।

দিনব্যাপী এই অনুষ্ঠানে সকাল থেকেই ফুলের তোড়া নিয়ে শুভেচ্ছা জানাতে আসেন সর্বস্তরের মানুষ। যাদের মধ্যে রয়েছেন শিক্ষাবিদ, সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবী, লেখক, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, রাজনীতিবিদ, সামাজিক ও ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতারা। এসময় শুভেচ্ছা জানান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে আজাদ চৌধুরী, প্রধানমন্ত্রীর সাবেক স্বাস্থ্য উপদেষ্টা ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি ও ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের এমপি শামীম ওসমান, প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিব আশরাফুল আলম খোকন প্রমুখ।
 
অনুষ্ঠানে ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়েছে বিএনপি। দলের সিনিয়র নেতাদের মধ্যে ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, অ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদীন, আবদুল আউয়াল মিন্টু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, শামা ওবায়েদ, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক শহীদুল ইসলাম বাবুল, আবদুল আউয়াল খান, চেয়ারপারসনের প্রেস উইং সদস্য শামসুদ্দিন দিদার ও শায়রুল কবীর খান প্রমুখ।

জাতীয় পার্টির নেতৃবৃন্দের মধ্যে ছিলেন জাতীয় পার্টির পার্টির কো-চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদের, প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট কাজী ফিরোজ রশীদ, এস এম ফয়সল চিশতী, আজম খান, মীর আবদুস সবুর আসুদ, যুগ্মমহাসচিব অ্যাডভোকেট রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া। অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক মন্ত্রী কর্নেল (অব.) জাফর ইমাম বীর বিক্রম, নাগরিক ঐক্যের আহবায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, আহবায়ক কমিটির সদস্য আতিকুর রহমান, এলডিপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম প্রমুখ।

গণমাধ্যম ব্যক্তিদের মধ্যে শুভেচ্ছা জানাতে আসেন বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার প্রধান সম্পাদক ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল কালাম আজাদ, ডেইলি সান সম্পাদক এনামুল হক চৌধুরী, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিন, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মোল্লা জালাল, মহাসচিব শাবান মাহমুদ, কোষাধ্যক্ষ দীপ আজাদ, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব সুভাষ সিংহ রায়, বৈশাখী টেলিভিশনের হেড অব নিউজ অশোক চৌধুরী প্রমুখ।
 
আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তাদের মধ্যে শুভেচ্ছা জানান র‌্যাব মহাপরিচালক (ডিজি) বেনজীর আহমেদ, ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া,  র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার মুফতি মাহমুদ খান, পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) ডিআইজি মাহবুব হোসেন, র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার উপ-পরিচালক মেজর হুসাইন রইসুল আজম মনি, ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার আবদুল বাতেন, উপ-কমিশনার (ডিসি-মিডিয়া) মো. মাসুদুর রহমান ও পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) মোল্যা নজরুল ইসলাম।  

এছাড়াও ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দের মধ্যে এফবিসিসিআই’র সাবেক সভাপতি মীর নাসির হোসেন, কাজী আকরাম উদ্দিন আহমেদ, বিজিএমইএ’র সাবেক সভাপতি আতিকুল ইসলাম, বর্তমান সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান, সহ-সভাপতি মোহাম্মদ নাসির প্রমুখ শুভেচ্ছা জানান।

শুভানুধ্যায়ীদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন পেশেন্ট ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. রাকিবুল ইসলাম লিটু, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ মিটফোর্ড হাসপাতালের নাক, কান ও গলা বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. মনিলাল আইচ লিটু। ক্যাবল অপারেটর অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা জানান আনোয়ার পারভেজ, চঞ্চল মাহমুদসহ সিনিয়র নেতৃবৃন্দ।

ইস্ট ওয়েষ্ট মিডিয়া গ্র“পের সহযোগী প্রতিষ্ঠান সর্বাধিক প্রচারিত দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিনের পক্ষ থেকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী সম্পাদক পীর হাবিবুর রহমান, যুগ্ম সম্পাদক আবু তাহের, উপ-সম্পাদক মাহমুদ হাসান, প্রধান প্রতিবেদক মনজুরুল ইসলাম, বিজ্ঞাপন বিভাগের প্রধান মাসুদুর রহমান, সার্কুলেশন বিভাগের প্রধান বিল্লাল হোসেন মন্টুসহ সিনিয়র কর্মকর্তাবৃন্দ।  

এ ছাড়াও কালের কণ্ঠ নির্বাহী সম্পাদক মোস্তফা কামাল, ডেইলি সানের নির্বাহী সম্পাদক শিয়াবুর রহমান, রেডিও ক্যাপিটালের নির্বাহী পরিচালক মেহেদী মালেক সজীব, বাংলানিউজ টোয়েন্টিফোরের কনসালট্যান্ট এডিটর জুয়েল মাজহারও নিজ নিজ প্রতিষ্ঠান থেকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান।

আগত অতিথিদের স্বাগত জানান নিউজ টোয়েন্টিফোরের নির্বাহী পরিচালক হাসনাইন খুরশিদ, হেড অব কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স সামিয়া রহমান, প্রধান বার্তা সম্পাদক শাহনাজ মুন্নীসহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।

অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন চ্যানেলের সংবাদ পাঠক শেখ জায়েদ এবং সংবাদ পাঠিকা আফরিন আনোয়ার।

উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন একটি ফুটবল দল দেশের স্বাধীনতার পক্ষে জনমত গঠন এবং মুক্তিযোদ্ধাদের সাহাযার্থে অর্থ সংগ্রহের উদ্দেশ্যে ভারতের বিভিন্ন স্থানে প্রদর্শনী ফুটবল খেলায় অংশ নেয়। এই দলটি ‘স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল’ নামে পরিচিত। পৃথিবীর ইতিহাসে যুদ্ধকালীন প্রথম ফুটবল দল এটিই।  

সম্পর্কিত খবর