দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে মাদ্রাসার শিক্ষক কর্তৃক অমানবিক নিযাতনের শিকার হয়ে হাসপাতালের বিছানায় কাতরাচ্ছে এতিম শিশুছাত্র শাকিল। টাকা চুরির সন্দেহে গতকাল শুক্রবার সন্ধায় দেবীপুর হাফেজিয়া মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক হাবীব উদ্দিন জোরপূর্বক শাকিলকে মাদ্রাসার ঘরে এনে বাঁশের লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারপিট করে।
মাতা-পিতা হারা শিশু শাকিল ফুলবাড়ী উপজেলার শিবনগর ইউনিয়নের রাজারামপুর দেবীপুর গ্রামের মৃত মহিবুলের ছেলে ও দেবীপুর হাফেজিয়া মাাদ্রাসার নাজরানা শ্রেণির ছাত্র।
তার গায়ের বিভিন্ন জায়গায় লাঠির আঘাতের গভীর ক্ষতচিহ্ন রয়েছে।
খবর পেয়ে শাকিলের একমাত্র অভিভাবক তার নানা গ্রাম্য ডাক্তারের কাছে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর তাকে ফুলবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এনে ভর্তি করান। এ নিয়ে ওই শিক্ষকের উপর এলাকার মানুষের চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে।
এ ব্যাপারে দেবীপুর হাফেজিয়া মাাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক বায়জিদ বোস্তামি বলেন, ঘটনার সময় তিনি মাদ্রাসায় উপস্থিত ছিলেন না। পরে জানতে পেরে শিশুটিকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে আসেন।
শিবনগর ইউপি চেয়ারম্যান মামুনুর রশিদ চৌধুরী বিপ্লব বলেন, লোকমুখে জানতে পেরেছি হাবীব নামে ওই মাদ্রাসাশিক্ষক শিশুটিকে অমানবিক নির্যাতন করেছে। তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ফুলবাড়ী থানার অফিসার্স ইনচার্জ শেখ নাসিম হাবীব বলেন, বিষয়টি শুনেছি। তবে এখনো কেউ লিখিত অভিযোগ দায়ের করেনি। ওই শিক্ষককে আটকের চেষ্টা চলছে। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।