হিজাব-দাড়ির অনুমোদন চেয়ে ইমাম বরখাস্ত

হিজাব পরা উজবেকিস্তানের নারীরা।

হিজাব-দাড়ির অনুমোদন চেয়ে ইমাম বরখাস্ত

নিউজ টোয়েন্টিফোর ডেস্ক

পুরুষদের দাড়ি ও নারীদের হিজাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে দেওয়ার আহ্বান জানানোয় উজবেকিস্তানের এক ইমামকে বরখাস্ত করা হয়েছে। তিনি দেশটির প্রেসিডেন্ট শাভকাত মিরজিয়োয়েভকে এ আহবান জানান বলে দুবাইভিত্তিক আল এরাবিয়া ওয়েবসাইট জানায়।

খবরে জানানো হয়, উদারনৈতিক মিরজিয়োয়েভ ২০১৬ সালে ক্ষমতায় আসার পর ধর্মীয় স্বাধীনতার বিষয়ে বিধিনিষেধ শিথিল করেন। তিনি অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সংস্কারের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় আসেন।

সেখানে ধর্মীয় পোশাক-আশাক পরিধানের বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের মুসলিমপ্রধান দেশটিতে কয়েক দশক ধরে এই নিষেধাজ্ঞা বহাল আছে। প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পরও মিরজিয়োয়েভের সরকার শেষ পর্যন্ত এসব নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়নি।

বিশেষ করে মেয়ে ছাত্রীদের সেখানে হিজাব পরা নিষিদ্ধ করে গত মাসে একটি আইন চালু করা হয়েছে।

এরপর ফাজলিদ্দিন পারপিয়েভের নেতৃত্বে সামাজিক মাধ্যমে নতুন এই নিষেধাজ্ঞার ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়। তিনি ওই সময় তাসখণ্ডের ওমিনা মসজিদের ইমাম ছিলেন।

গত সপ্তাহে পারপিয়েভ প্রেসিডেন্ট মিরজিয়োয়েভকে উদ্দেশ করে ফেসবুকে একটি ভিডিও পোস্ট করেন। উজবেকিস্তানের একজন ধর্মীয় নেতার ক্ষেত্রে এমন উদ্যোগ ব্যতিক্রমী বলে মন্তব্য করে আল এরাবিয়া।

ভিডিওতে বলা হয়, সাম্প্রতিক সংস্কারের পরও হিজাব পরা ও দাড়ি রাখার জন্য মুসলিমদের নির্যাতন করা হচ্ছে। তিনি ‘বিবেকের স্বাধীনতা বজায় রাখার’ জন্য মিরজিয়োয়েভের সাহায্য চান।

পরে রোববার পারপিয়েভ ফেসবুকে ওয়ালে জানান, মুসলিম বোর্ড অব উজবেকিস্তান তাকে ইমামের পদ থেকে বরখাস্ত করেছে। সংস্থাটি সরকারের ঘনিষ্ঠ এবং তার বেশ কয়েকজন সহকর্মী তাকে বক্তব্য প্রত্যাহার করারও আহ্বান জানিয়েছে।

‘আমি ভিডিওতে যা বলেছি তার জন্য অনুতপ্ত নই। তবে আমার স্মার্টফোনটি আমার বাবা আমার কাছ থেকে কেড়ে নিয়েছেন যা দেখে মনে হচ্ছে তাকেও চাপ দেয়া হচ্ছে’ বলেন এই ইমাম। মন্তব্যের জন্য মুসলিম বোর্ডের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেনি আল-এরাবিয়া।


(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)

সম্পর্কিত খবর