পাক-ভারত সীমান্তে পাকিস্তানি স্নাইপারের গুলিতে গোসাভি কেশব সোমগীর (২৯) নামে এক ভারতীয় সেনাসদস্য নিহত হয়েছেন। তিনি জম্মুর নৌসেরা সেক্টরে নায়েক ছিলেন।
রোববার ওই জওয়ান গুলিবিদ্ধ হলে তাঁকে দ্রুত নিকটবর্তী সেনা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তিনি মারা যান।
এনিয়ে গত তিন দিনে ভারত-পাক সীমান্তে স্নাইপারের গুলিতে তিন ভারতীয় সেনার মৃত্যু হলো।ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্রের বরাত দিয়ে স্থানীয় গণমাধ্যম এ খবর প্রচার করে।
খবরে প্রকাশ, পাকিস্তানি সেনারা বিনা প্ররোচনায় নৌসেরা সেক্টরে বিকেল পৌনে তিনটা নাগাদ গুলিবর্ষণ শুরু করে। এরফলে সীমান্তের ওপার থেকে আসা গুলিতে সোমগীর গুরুতরভাবে আহত হন এবং পরে তিনি মারা যান।
গত শনিবারও একইভাবে পাকিস্তানি স্নাইপারের গুলিতে বিএসএফের এক জওয়ান নিহত হয়েছিলেন। সুন্দেরবানি এলাকায় ওই হামলার ঘটনায় বরুণ কাত্তাল (২১) নামে বিএসএফের রাইফেলম্যান নিহত হন।
এরপরে দুদেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে পাল্টাপাল্টি গুলিবর্ষণ শুরু হলে বিএসএফের দুই জওয়ান আহত হয়।
গত শুক্রবার আখনুর সেক্টরেও পাকিস্তানি স্নাইপারের গুলিতে সেনাবাহিনীর এক জওয়ান নিহত হয়েছিলেন।
অন্যদিকে, তথ্য জানার অধিকার আইনে (আরটিআই অ্যাক্ট) এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্য সূত্রে প্রকাশ, এনিয়ে চলতি বছরের প্রথম সাত মাসে নিয়ন্ত্রণরেখা ও আন্তর্জাতিক সীমান্তে জম্মু-কাশ্মীর রাজ্যে পাকিস্তান ১ হাজার ৪৩৫ বার যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করেছে। এরফলে ৫২ জন নিহত ও ২৩২ জন আহত হয়েছেন।
আহত হন ১২ জন সেনাসদস্য, ১২ জন বিএসএফ জওয়ান এবং ২৮ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। এছাড়া ১৪০ জন বেসামরিক নাগরিক, ৪৫ সেনাসদস্য ও ৪৭ জন বিএসএফ জওয়ান।
(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)