পোপকে ‘রোহিঙ্গা’ শব্দ না বলার পরামর্শ

কফি আনান ও পোপ ফ্রান্সিস। -ফাইল ছবি

পোপকে ‘রোহিঙ্গা’ শব্দ না বলার পরামর্শ

নিউজ টোয়েন্টিফোর ডেস্ক

রোহিঙ্গা পরিস্থিতি দেখতে শীঘ্রই বাংলাদেশ ও মিয়ানমার সফর করবেন ক্যাথলিক চার্চপ্রধান পোপ ফ্রান্সিস। এই সফরে ‘রোহিঙ্গা’ শব্দটি ব্যবহার না করার জন্য তাঁকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।  

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, পাঁচ দিনের সফরে পোপ ফ্রান্সিস ২৭ নভেম্বর বাংলাদেশে আসবেন, পরে তিনি মিয়ানমার যাবেন। ২ ডিসেম্বর পর্যন্ত তিনি সেখানে থাকবেন।

রাখাইনের সহিংসতা নিরসনে মিয়ানমার সরকার গঠিত কমিশনের প্রধান ও জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব কফি আনান ও মিয়ানমারের কার্ডিনাল চার্লস মং বো আশা করেন যে, পোপ তাঁর সফরে ‘রোহিঙ্গা’ শব্দটি ব্যবহার করবেন না। কারণ খ্রিস্টানরাও মিয়ানমারে সংখ্যালঘু।

ক্যাথলিক চার্চ ও রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী কয়েকজন ব্যক্তির পোপকে এ ধরনের পরামর্শের বিরোধিতা করেছে বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা; যারা এরই মধ্যে ‘বিশ্বের সবচেয়ে নিপীড়িত এই দেশহীন জনগোষ্ঠীকে’ আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে ‘রোহিঙ্গা’ বলেই অভিহিত করে আসছে।   

চলতি বছরের অক্টোবরে রাখাইন রাজ্যে নতুন করে সহিংসতা সৃষ্টির পর সেখান থেকে ছয় লাখের বেশি রোহিঙ্গা মুসলিম বাস্তুচ্যুত হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে।

এই ঘটনাকে ‘জাতিগত নিধনের ধ্রুপদি উদাহরণ’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে জাতিসংঘ।  

পোপকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে ‘রোহিঙ্গা’র পরিবর্তে ‘রাখাইন রাজ্যের মুসলিম’ শব্দটি ব্যবহার করার জন্য। যদিও গত অক্টোবরে সহিংসতা শুরু পর এক বিবৃতিতে ‘রাখাইনের রোহিঙ্গা ভাই-বোনদের প্রতি সহিংসতা বন্ধে’র জন্য মিয়ানমার সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলেন পোপ। এ সময় তিনি ‘তাদের নিজস্ব সংস্কৃতি ও ধর্মীয় বিশ্বাস’ রক্ষার কথাও বলেন।

ভ্যাটিকান সিটি জানিয়েছে, গত ৬ নভেম্বর কফি আনান আরো তিনজন প্রভাবশালী ব্যক্তিকে নিয়ে পোপ ফ্রান্সিসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। কমিশনের ৬৩ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনটি পোপকে দেওয়া হয়। এই প্রতিবেদনেও ‘রোহিঙ্গা’ শব্দটি পরিহার করে শুধু ‘রাখাইন রাজ্যের মুসলিম’ ব্যবহার করা হয়েছে।

সম্পর্কিত খবর