সরকারের উৎসব এক বিকৃত তামাশা: রিজভী

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রহুল কবির রিজভী

সরকারের উৎসব এক বিকৃত তামাশা: রিজভী

নিজস্ব প্রতিবেদক

স্বল্পোন্নত দেশ থেকে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশে পদাপর্ণ করায় সরকারিভাবে উৎসব-উদযাপনকে বিকৃত তামাশা আখ্যা দিয়েছে বিএনপি। আজ সকালে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ এই মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, ‘সরকারের আজকের উৎসবের কর্মসূচি এক বিকৃত তামাশা। গোটা ঢাকা শহরের রাস্তা-ঘাট অচল হয়ে গেছে, জনজীবন হয়ে গেছে সম্পূর্ণভাবে স্থবির।

ঘণ্টার পর ঘণ্টা মানুষ রাস্তায় সকাল থেকেই আটকা পড়ে আছে। ’

‘শুধু তাই নয়, উন্নয়নের নামে প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জিম্মি করে আওয়ামী লীগের যে কোনো কর্মসূচিতে অংশগ্রহণে বাধ্য করা হচ্ছে। ’

লুটপাটের নামে জনগণের টাকা আত্মসাৎকে সরকার উন্নয়ন বলছে মন্তব্য করে রিজভী বলেন, বাংলাদেশ নাকি উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হয়েছে- খুব ঢাকা-ঢোল পিটিয়ে আজকে তারা প্রচার করছেন, উৎসব করছেন।

‘এই উন্নয়নের কথা বলা, উন্নয়নশীল দেশের কথা বলা- এটা হচ্ছে সরকারের একটা নির্বাচনী বৈতরণী পার করার উনি (শেখ হাসিনা) স্বপ্ন দেখছে।

এটা সম্পূর্ণভাবে মকারি, মশকারি, জনগণের সাথে বিদ্রুপ করছেন। ’

বিএনপি নেতা আরো বলেন, সরকার একদিকে বলছে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হয় এমন কোনো কর্মসূচি করতে দেওয়া হবে না। অথচ উল্টো সরকার জনদুর্ভোগ সৃষ্টিতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে।

‘লুটপাট-ঘুষ-দুর্নীতি ব্যাপক হারে বেড়েছে। এক টাকার কাজ একশ টাকায় করতে হচ্ছে। দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে বেকারত্ব বাংলাদেশে- এটা কি উন্নয়নের নমুনা? এই বৃদ্ধি যদি উন্নয়নের প্রতীক হয়ে থাকে তা হলে বলার কিছু নেই। ’

রিজভী বলেন, এই মুহূর্তে এশিয়ায় সবচাইতে বেশি বৈষম্য বাংলাদেশে অর্থাৎ গরিব ভয়ঙ্করভাবে গরিব হচ্ছে, বড়লোক আরও বড় হচ্ছে- এটা কী উন্নয়নের নমুনা? কঙ্কালসার যুবতীকে মেকআপ দিয়ে দেখালে যে অবস্থা হয়, ঠিক সেই রকম অবস্থা বাংলাদেশের অর্থনীতির।

নয়া পল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলনে দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আবুল খায়ের ভুঁইয়া, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুল ইসলাম হাবিব উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে ওঠার যোগ্যতা অর্জনের স্বীকৃতিপত্র জাতিসংঘের কাছ থেকে পেয়েছে বাংলাদেশ। জাতিসংঘ সদস্য দেশগুলোকে স্বল্পোন্নত (এলডিসি), উন্নয়নশীল ও উন্নত এ তিন পর্যায়ে বিবেচনা করে।

১৯৭৫ সাল থেকে স্বল্পোন্নত দেশের অন্তর্ভুক্ত বাংলাদেশ মাথাপিছু আয়, মানব সম্পদ সূচক ও অর্থনৈতিক ঝুঁকি সূচক (ইভিআই)- এই তিন শর্ত পূরণ করে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে উঠতে যাচ্ছে।

অরিন/নিউজ টোয়েন্টিফোর

সম্পর্কিত খবর