রথীশ হত্যা মামলার আসামি মিলনের মৃত্যু

রথীশ হত্যা মামলার আসামি মিলনের মৃত্যু

নিউজ টোয়েন্টিফোর ডেস্ক

রংপুরের বিশেষ জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) রথীশ চন্দ্র ভৌমিক বাবু সোনা হত্যা মামলার আসামি ও বাবু সোনার ব্যক্তিগত সহকারী মিলন মোহন্ত (৩০) মারা গেছেন।

শুক্রবার রাত নয়টায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রিজন সেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

রংপুর কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার আমজাদ হোসেন ডন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, মিলন মোহন্তকে গত ৫ এপ্রিল রাতে কারাগারে নেওয়া হয়।

ওই সময় তার শারীরিক অবস্থা সঙ্কটাপন্ন থাকায় ওইদিনই চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রিজন সেলে পাঠানো হয়। সেখানে শুক্রবার রাতে মারা যান তিনি।

জানা গেছে, গত ৩০ মার্চ বাবু সোনা নিখোঁজের বিষয়টি জানাজানির পর মিলনকে আটক করে পুলিশ। পরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে বাবু সোনার স্ত্রী দীপা ও কামরুলের পরকীয়া প্রেম এবং তারাই বাবু সোনাকে হত্যা করে বলে পুলিশের কাছে স্বীকার করেন মিলন।

বাবু সোনার মরদেহ উদ্ধারের পর ওই মামলায় মিলনকে আসামি করে ৫ এপ্রিল আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।

মিলন মোহন্ত নিহত আইনজীবী বাবু সোনার ব্যক্তিগত সহকারী ছিলেন। বাবু সোনার মোটরসাইকেলের চালক ছাড়াও অফিস ও পারিবারিক নানা কাজে তাকে সহায়তা করতেন মিলন।

উল্লেখ্য, গত ৩০ মার্চ স্ত্রীর পরকীয়ার জের ধরে রংপুরের বিশেষ জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ও আওয়ামী লীগ নেতা রথীশচন্দ্র ভৌমিক খুন হন।

নিখোঁজের পাঁচদিন পর মঙ্গলবার রাত দুইটার দিকে নগরীর মাহিগঞ্জ মোল্লাপাড়া এলাকার একটি নির্মাণাধীন বাড়ির মাটির নিচ থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে নিহত রথীশচন্দ্রের স্ত্রী দীপা ভৌমিক, মেয়ে অদিতি ভৌমিক এবং দীপা ভৗমিকের কথিত প্রেমিক কামরুল ইসলাম জাফরীকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। এরপরেই বাবু সোনা হত্যার চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে আসে।

র‌্যাব জানায়, মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে বাবু সোনার স্ত্রী দীপা ভৌমিককে আটক করে র‌্যাবের একটি দল। তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ওই এলাকার কামরুল নামে এক শিক্ষকের বড় ভাইয়ের নির্মাণাধীন বাড়ির মাটির নিচ থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে মরদেহ শনাক্তের জন্য বাবু সোনার ছোট ভাই সুশান্ত ভৌমিক সুবল ও স্ত্রী দীপাকে ঘটনাস্থলে নিয়ে যাওয়া হয়। তারা বাবু সোনার মরদেহ শনাক্ত করেন।

(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)

সম্পর্কিত খবর