আটটার অফিস ১১টায় করছেন আবাইপুর ইউপি সচিব

আটটার অফিস ১১টায় করছেন আবাইপুর ইউপি সচিব

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি

ঝিনাইদহের শৈলকূপা উপজেলার আবাইপুর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) ভবন। উপজেলা শহর থেকে ১৪ কিলোমিটার পূর্বদিকে শৈলকূপা-মাগুরা সড়কের ধারে অবস্থিত এ পরিষদ ভবনে সচিব পদে চাকরি করেন কবিরুল ইসলাম। তার অফিসে উপস্থিতি নিয়ে রয়েছে নানান কথা।

এলাকাবাসীর কেউ বলছেন তিনি ১০টায়, কেউ আবার বলছেন ১১টায় অফিসে আসেন সচিব কবিরুল ইসলাম।

আর এতে বিঘ্ন ঘটে দাপ্তরিক কাজকর্মের। স্বয়ং ইউপি চেয়ারম্যানও বলছেন তার অফিসের সচিব ১০-১১ টার আগে অফিসে আসেন না।

অভিযোগ তদন্তে রোববার সকাল সাড়ে আটটার দিকে গিয়ে দেখা যায় চৌকিদার সুশিল দাস বসে আছেন পাঁকা বেঞ্চির ওপর। পরিচয় দিয়ে কথা বলে জানা গেল, তিনি সকাল আটটার আগেই চেয়ারম্যানের নির্দেশে অফিসে এসে অপেক্ষা করেন সচিবের জন্য।

যেহেতু সচিব বরাবর দেরিতে আসেন, তিনি বসে থাকেন অলসভাবে।

জমির নামপত্তনের জন্য এসেছিলেন পার্শ্ববর্তী গ্রামের এক ব্যক্তি। তিনি জানালেন, সরকারি নিয়মে এখন সকাল আটটায় অফিস খোলা জেনে তিনি সাড়ে আটটার দিকে এস দেখেন ইউপি ভবনে তালা মারা। একজন চৌকিদার বসে আছেন। জানতে পারলেন ১০-১১টার আগে 'সচিব স্যার' আসবেন না।

আবাইপুর বাজারের কয়েকজন দোকানদার ও স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেলো, তারাও শুনেছেন নতুন নিয়মে সকাল আটটায় অফিস শুরু হবে। কিন্তু সচিব কবিরুল ইসলাম ১০-১১টার পর অফিসে আসেন।

আবাইপুর ইউপি চেয়ারম্যান হেলাল উদ্দিন বিশ্বাসের সাথে আলাপে তিনি জানান, বরাবরই ওই সচিব বিলম্বে অফিসে আসেন। সরকারি প্রজ্ঞাপনে সকাল আটটায় অফিস শুরু করার বিষয়ে তিনি তাকে বারবার অবহিত করলেও সেটিকে গুরুত্ব দেননি তিনি। ফলে সাচিবিক কাজসহ সবকাজই ঢিলেতালে চলছে।

হেলাল উদ্দিন আরও জানান, সচিবের অনিয়মিত ও বিলম্বে অফিসে আসার কারণে এলাকার মানুষের জন্ম-মৃত্যু সনদ, জন্ম নিবন্ধন, ওয়ারিশ কায়েম সনদ, চারিত্রিক ও নাগরিক সনদসহ সব কর্মকাণ্ডে জটিলতা হচ্ছে।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সচিব কবিরুল ইসলাম জানান, চেয়ারম্যান মহোদয়কে না জানিয়ে তিনি ঝিনাইদহে জেলা প্রশাসকের অফিসে গিয়েছিলেন। মাঝেমধ্যে কিছুটা বিলম্বে অফিসে গেলেও অনেকসময় বেশি সময় অফিসে অবস্থান করতে হয়।

news24bd.tv/FA

এই রকম আরও টপিক