আজ ২৮ সেপ্টেম্বর, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা ও আওয়ামী লীগের সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭১তম জন্মদিন। গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়ায় ১৯৪৭ সালের এই দিনে তিনি জন্মগ্রহণ করেন।
শেখ হাসিনা গ্রামবাংলার ধুলোমাটি আর সাধারণ মানুষের সঙ্গেই বেড়ে উঠেছেন। তাই গ্রামের সঙ্গে তার নিবিড় সম্পর্ক।
শেখ হাসিনার শিক্ষাজীবন শুরু হয় টুঙ্গিপাড়ার এক পাঠশালায়। ১৯৫৬ সালে তিনি ভর্তি হন রাজধানীর টিকাটুলির নারী শিক্ষা মন্দির বালিকা বিদ্যালয়ে। ১৯৬৫ সালে শেখ হাসিনা আজিমপুর বালিকা বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। ১৯৬৭ সালে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেন ঢাকার বকশীবাজারের পূর্বতন ইন্টারমিডিয়েট গভর্নমেন্ট গার্লস কলেজ (বর্তমানে বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা মহাবিদ্যালয়) থেকে।
১/১১-এর পর শুরু হয় নতুন ষড়যন্ত্র। শেখ হাসিনাকে রাজনীতি থেকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য হাজির করা হয় ‘মাইনাস টু’ তত্ত্বের। ২০০৭ সালের ১৬ জুলাই নিজ বাসভবন সুধা সদন থেকে শেখ হাসিনাকে গ্রেফতার করা হয়। জাতীয় সংসদ এলাকায় একটি অস্থায়ী কারাগারে তাকে বন্দী করে রাখা হয়। পরে শেখ হাসিনাসহ রাজনৈতিক নেতাদের মুক্তি দিতে বাধ্য হয় সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার। ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি দ্বিতীয়বারের মতো দেশের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বভার গ্রহণ করেন শেখ হাসিনা। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে তিনি তৃতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেশ পরিচালনার দায়িত্বভার গ্রহণ করেন।
শেখ হাসিনার জন্মদিনে বাদ জোহর জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে মিলাদ মাহফিল, দোয়া ও মোনাজাত, সকাল ১০টায় আন্তর্জাতিক বৌদ্ধ বিহার মেরুল বাড্ডা ও সকাল সাড়ে ১০টায় খ্রিস্টান অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ (সিএবি) ওয়াই. এম. সি. এ চ্যাপেল, ২৯ সেনপাড়া, মিরপুর-১০ এবং ঢাকেশ্বরী মন্দিরে বিশেষ প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হবে। এ ছাড়াও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের উদ্যোগে বিকাল ৩টায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে মিলাদ, দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভা হবে। শেখ হাসিনার ইচ্ছানুযায়ী তার জন্মদিন উপলক্ষে এবার কেককাটা, গান-বাজনা ও আনন্দ-উল্লাস থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।