বঙ্গোপসাগরে জাল ফেলতে লাখ টাকা দিতে হয় জেলেদের

সংগৃহীত ছবি

বঙ্গোপসাগরে জাল ফেলতে লাখ টাকা দিতে হয় জেলেদের

নয়ন বড়ুয়া জয়, চট্টগ্রাম প্রতিনিধি

বঙ্গোপসাগরে জাল ফেললে জেলেদের লাখ টাকা দিতে হয় বলে অভিযোগ আছে চট্টগ্রামের পতেঙ্গার ইলিয়াসের বিরুদ্ধে। টাকা না দিলে করা হয় মারধর। নামতে দেয়া হয় না সাগরে। মাছ ধরার একটি নৌকার জন্য দিতে হয় এক থেকে দেড় লাখ টাকা পর্যন্ত।

এভাবে সে প্রতিমাসে কামিয়ে নেয় লাখ লাখ টাকা। সম্প্রতি চাঁদাবাজির অভিযোগে গোয়েন্দা পুলিশের হাতে ইলিয়াস গ্রেপ্তার হওয়ার পর জেলেদের থেকে জানা গেছে এমন তথ্য।  

গোয়েন্দা পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হওয়ার পর ইলিয়াসের অপরাধের বিষয়ে মুখ খুলতে শুরু করেছেন জেলেরা।

দাপট যার সাগর তার।

দীর্ঘদিন ধরে চট্টগ্রামের পতেঙ্গার ইলিয়াসসহ একটি সংঘবদ্ধ চক্র সাগরে মাছ ধরার জন্য প্রতি বছর দখল-স্বত্ব বিক্রি করছে। জাল ফেলার জায়গা বিক্রির মাধ্যমে তারা জেলেদের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। দখল স্বত্ব না কিনে মাছ ধরতে গেলে মারধরসহ নানা ধরনের নির্যাতনের শিকার হতে হচ্ছে জেলেদের। ইলিশ মৌসুমেও সাগরে জাল ফেলতে না পেরে মানবেতর জীবনযাপন করছে চট্টগ্রামের অসংখ্য জেলে। এমন অভিযোগে সম্প্রতি ইলিয়াসকে গ্রেফতার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ।

গোয়েন্দা বিভাগের উপ পুলিশ কমিশনার মোঃ: আলী হোসেন জানান, ‘জেলেদের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেওয়াসহ মারধরের বেশ কিছু অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বিস্তারিত তদন্ত সাপেক্ষে বলা যাবে। ’ 

পতেঙ্গা মৎস্য সমবায় সমিতির নেতারা বলেন, ইলিয়াসকে টাকা না দিলে পতেঙ্গা ঘাটে মাছ বিক্রিও করাও সম্ভব হয় না। সাগরে জাল ফেললেই তাকে মোট অংকের টাকা দিতে হয়। তা না হলে জেলেদের নির্যাতন করেন তিনি।

উল্লেখ্য, মৎস্য আহরণের নিয়ম অনুযায়ী, ফিশিং লাইসেন্স থাকলেই সাগরে মাছ আহরণ করতে পারার কথা জেলেদের। তবে বাস্তবে তা হচ্ছে না। সাগরে মাছ আহরণ করতে গেলেই মোটা অংকের টাকা দিতে হচ্ছে জেলেদের। তবে জেলেদের এমন হয়রানির বিষয়ে জানা নেই মৎস্য কর্মকর্তাদের।

news24bd.tv/আমিরুল