সাম্প্রতিক কালের সবচেয়ে ভয়াবহ ভূমিকম্পে বসতবাড়ি হারিয়েছে ইন্দোনেশিয়ার ৭০ হাজারেরও বেশি মানুষ। এসব মানুষ খাদ্য, চিকিৎসা ও বিশুদ্ধ পানির অভাবে ভুগছে। কর্তৃপক্ষ তাদের জন্য অস্থায়ী আশ্রয়ের ব্যবস্থা করলেও প্রয়োজনের তুলনায় তা নিতান্তই কম।
গেল রোববার (৫ আগস্ট) ইন্দোনেশিয়ার লম্বক ও গিলি দ্বীপে সাম্প্রতিক কালের সবচেয়ে ধ্বংসাত্মক ভূমিকম্প আঘাত হানে।
৬.৯ মাত্রার ওই ভূমিকম্পে শতাধিক মানুষ নিহত হয়। আহত হয় আরও ২৩৬ জন।ধসে পড়ে অবকাশ যাপনের জন্য সুপরিচিত গিলি দ্বীপের বড় বড় অট্টলিকা। এত পর্যটকরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।
এর আগের সপ্তাহেও সেখানে আরেকটি ভূমিকম্প আঘাত হানে। তখন ১৭ জন নিহত হয়। পরপর দুই দফা বিধ্বংসী ভূমিকম্পে ওই অঞ্চলের মানুষ এখন আতঙ্কের মধ্যে দিন পার করছে।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, লম্বক দ্বীপের হাজার হাজার বাড়ি ধসে পড়েছে। কর্তৃপক্ষ আরো চিকিৎসাকর্মী ও ত্রাণ সহায়তা পাঠানোর অনুরোধ করেছে।
আজ (৮ আগস্ট) ইন্দোনেশিয়ার জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা এজেন্সির মুখপাত্র সুতোপো পুরো নুগ্রোহ বলেন, আটকে পড়া মানুষদের উদ্ধারে তৎপরতা জোরদার করা হয়েছে। কিন্তু এখনো অনেক জটিলতা রয়েছে। প্রতিদিনই হতাহতের সংখ্যা বাড়ছে। এখন পর্যন্ত ৭০ হাজারেরও বেশি মানুষকে উদ্ধার করা হয়েছে। অনেক ধ্বংসস্তুপে এখনো উদ্ধার অভিযান চালানো হয় নি। আশঙ্কা করা হচ্ছে, সেখানে অনেক মানুষ আটকে থাকতে পারেন।
ওয়েস্ট নুসা তেঙ্গারা প্রদেশের গভর্নর মুহাম্মদ জাইনুল মাজদি বলেন, সেখানে জরুরি ভিত্তিতে চিকিৎসাকর্মী. খাদ্য ও ওষুধ সরবরাহ করা প্রয়োজন। সেখানকার হাসপাতালগুলোও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আহতদেরকে হাসপাতালের বাইরে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, দ্বীপের প্রায় শতভাগ ভবন ধসে পড়েছে। কিন্তু সীমিত সরঞ্জাম দিয়ে বিরাট ধ্বংসস্তুপে উদ্ধার তৎপরতা চালানো কঠিন হয়ে পড়েছে। তাছাড়া উদ্ধারকর্মীরও স্বল্পতা রয়েছে।
সূত্র: এপি, গাল্ফ টাইমস, এএফপি
অরিন/নিউজ টোয়েন্টিফোর