জাতীয় শোক দিবসে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর ৪৩তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে সকাল সাড়ে ৬টায় ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রথমে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ। এরপর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন প্রধানমন্ত্রী ও বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা।
রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে বিউগলে করুন সুর বাজানো হয়।
এ সময় তারা কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে নীরবতা পালন করেন।রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে শ্রদ্ধা জানান জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী ও প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন।
পরে ১৯৭৫ এর ১৫ই আগস্ট নিহতদের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।
বঙ্গবন্ধু, তাঁর স্ত্রী শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব, তাঁদের তিন ছেলে-শেখ কামাল, শেখ জামাল, শেখ রাসেল এবং পরিবারের অধিকাংশ সদস্য ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্ট স্বাধীনতা বিরোধী শক্তির নির্মম হত্যাকান্ডের শিকার হন।
পরে প্রধানমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এবং নেতা-কর্মীদের নিয়ে আরেকবার পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানান। বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানানোর পর প্রধানমন্ত্রী তাঁর ছোট বোন শেখ রেহানাকে নিয়ে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক বাসভবনটি ঘুরে দেখেন। যে বাড়িতে আজ থেকে ৪৩ বছর আগে পৃথিবীর বর্বরতম এক হত্যাযজ্ঞ সংঘটিত হয়। পরবর্তীতে জাদুঘরে রুপান্তরিত করা বাড়িটিতে শেখ হাসিনা এবং শেখ রেহানা কিছু সময় অবস্থান করেন। পরে, প্রধানমন্ত্রী বনানী কবরস্থানে যান। যেখানে তাঁর মাতা বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব, শেখ কামাল, শেখ জামাল, শেখ রাসেল এবং ১৫ আগস্টের শাহাদৎ বরণকারীরা চিরনিন্দ্রায় শায়িত রয়েছেন। শেখ হাসিনা এবং শেখ রেহানা সেখানে পুষ্পার্ঘ অর্পণ করেন এবং কবরে ফুলের পাঁপড়ি ছিটিয়ে দেন। তাঁরা এ সময় মরহুমদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে ফাতেহা পাঠ করেন এবং দোয়ায় শরীক হন।
জাতি আজ শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। ৪৩ বছর আগে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সেনাবাহিনীর বিপথগামী একদল ঘাতকের হাতে তার নৃশংস হত্যাকাণ্ড ছিল জাতির ইতিহাসে এক কলঙ্কময় অধ্যায়।
অরিন/নিউজ টোয়েন্টিফোর