ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধের আগে মস্কোর জ্বালানির ওপর ব্যাপকভাবে নির্ভর ছিল ইউরোপের দেশগুলো। তবে যুদ্ধের পর থেকে রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিতে থাকে পশ্চিমারা। এর জেরে ইউরোপের দেশগুলোতে জ্বালানি রপ্তানি কমিয়ে দেয় ক্রেমলিন। আর এতেই বেধেছে বিপত্তি।
ইতোমধ্যে শীত মৌসুমে রয়েছে গোটা ইউরোপ। তবে জ্বালানি সংকটে থাকা ইউরোপীয়রা নিজেদের ঘর গরম করতে পারছে না। যার পরিমাণ অঞ্চলটির মোট জনসংখ্যার এক চতুর্থাংশ। এমনকি মূল্যস্ফীতিতে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য ও ঋণ পরিশোধে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদের।
সমীক্ষা অনুযায়ী, ইইউ বাসিন্দাদের মধ্যে ২৬ শতাংশ বা প্রায় ১০০ মিলিয়ন মানুষ নিজেদের ঘরকে সঠিকভাবে গরম করতে পারছে না। এই তালিকায় সবার ওপরে রয়েছে গ্রীস। দেশটির মোট জনসংখ্যার ৫৬ শতাংশ উষ্ণতার সমস্যায় ভুগছেন। পর্তুগাল ও ফ্রান্সের ৩৪ শতাংশ বাসিন্দাও একই সমস্যা পড়েছেন। তালিকায় নিচের দিকে রয়েছে ফিনল্যান্ড, হাঙ্গেরি, অস্ট্রিয়া এবং ডেনমার্ক। এসব দেশের ১৫ শতাংশেরও কম বাসিন্দা অসুবিধার কথা স্বীকার করেছেন।
সমীক্ষায় অংশ নেওয়া প্রতি চারজনের একজন স্বীকার করেছেন যে, সর্বশেষ এক বছরে তারা তাদের ঘর গরম করার বিল পরিশোধ করতে পারেননি। এই সংখ্যায় সবার ওপরে রয়েছে গ্রীস। দেশটির ৫১ শতাংশ বাসিন্দা বিল না পরিশোধের কথা জানিয়েছে। এ ছাড়া বুলগেরিয়া ও আয়ারল্যান্ডের ৩৫ শতাংশ বাসিন্দা একই কথা বলেছে।
বিল পরিশোধ করতে না পারার কারণ হিসেবে তারা দেখিয়েছে মূল্যস্ফীতি। তাদের দাবি, নিত্যপণ্য ও জ্বালানির দাম বৃদ্ধির ফলে বিল পরিশোধে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদের।
সূত্র: আরটি
news24bd.tv/মামুন