শরীয়তপুরের গোসাইরহাট উপজেলার কুচাইপট্টি ইউনিয়নে এক কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে আদালতে মামলা করেছেন ভুক্তভুগী। গত সোমবার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল শরীয়তপুরের আদালতে অভিযোগটি দায়ের করেন। আদালত অভিযোগটি গোসাইরহাট থানা পুলিশকে এফআইআর হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার এজাহার ও ধর্ষণের শিকার ওই ছাত্রী জানায়, ২০২২ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি গোসাইরহাট উপজেলার কুচাইপট্টি ইউনিয়নের বসকাঠি গ্রামের মজিদ মাঝির ছেলে টিটু মাঝি (২২) সহপাঠি ওই কলেজ ছাত্রীকে নিজবাড়িতে একা পেয়ে জোরপূর্বক বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ করে।
পরবর্তীতে লোক লজ্জার ভয়ে ধর্ষণের বিষয়টি গোপন রাখে ওই ছাত্রী। ঘটনার দুই মাস পরে মেয়েটি বুঝতে পারে সে গর্ভবতী হয়ে পড়েছে। পরে আসামি টিটুকে বিয়ের জন্য চাপ দিয়ে সে পালিয়ে ঢাকা চলে যায়।এমতবস্থায় মেয়েটি আন্তঃসত্তা বিষয়টি গোপন রাখায় পরিবার তাকে ২০২২ সালের ১২ জুলাই একই এলাকার মো. ইয়াছিনের সঙ্গে বিবাহ দেন।
এমন ঘটনা নিয়ে সংসারে ঝামেলা সৃষ্টি হওয়ায় স্বামীকে স্বচ্ছায় তালাক দিয়ে বাবার বাড়ি চলে আসে ওই কলেজ ছাত্রী। এরপর গত নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতে মামলাটি দায়ের করেন।
ধর্ষণের শিকার ছাত্রীর পিতা বলেন, আমরা গরীব মানুষ। কষ্ট করে মেয়ের বিয়ে দিয়েছিলাম। কিন্তু টিটু আমার মেয়ের জীবনটা নষ্ট করে দিয়েছে। আমি ওর বিচার চাই।
এ বিষয়ে আসামি টিটু মাঝির বাড়িতে গিয়ে তাদের কাউকে পাওয়া যায়নি।
গোসাইরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম শিকদার বলেন, আদালতের নির্দেশের কপি এখনো পাইনি। কাগজ পেলে মামলা নথিভুক্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
news24bd.tv/কামরুল