ইউক্রেনের সব সামরিক স্থাপনা গুঁড়িয়ে দিয়েই থামবে রাশিয়া!

সংগৃহীত ছবি

ইউক্রেনের সব সামরিক স্থাপনা গুঁড়িয়ে দিয়েই থামবে রাশিয়া!

অনলাইন ডেস্ক

ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ ৩২৯ দিনে গড়িয়েছে। পরিবর্তন হয়েছে বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটের। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপের সর্ববৃহৎ যুদ্ধের রূপ নিয়েছে এটি। কবে এ যুদ্ধ থামবে তা নিয়ে জল্পনা-কল্পনার শেষ নেই।

তবে এবার খোদ রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন কবে থামতে পারে এ যুদ্ধ।

বুধবার বার্ষিক সংবাদ সম্মেলনে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ বলেছেন, ‘ইউক্রেন সংঘাত তখনই শেষ হতে পারে যখন কিয়েভ মস্কোর জন্য হুমকি সৃষ্টি বন্ধ করবে। তাদের কোনো সামরিক অবকাঠামো দেশটিতে থাকবে না। এমনকি যতদিন পর্যন্ত রুশ ভাষাভাষীদের প্রতি বৈষম্য বন্ধ না করবে তারা।

’ 

প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে যুদ্ধ এই বছরেই শেষ হবে কি না সাংবাদিকদের এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘বিশেষ সামরিক অভিযানের লক্ষ্য কাল্পনিক নয়। এটি বাতাসের সঙ্গে উড়ে যাবার মতো না। রুশ ফেডারেশনের নিরাপত্তা স্বার্থ এতে সংশ্লিষ্ট। ’

তিনি আরও বলেন, ‘নিরাপত্তার হুমকি যখন প্রতিবেশী দেশ থেকে আসে তখন সেটা কারও কাম্য নয়। ইউক্রেনের মতো অন্যান্য প্রতিবেশী দেশগুলোকে আমাদের জন্য হুমকি হয় এমন কিছু করা তাদের উচিত নয়। ’

‘রুশ ঐতিহ্য, ভাষা ও সংস্কৃতি বহনকারী ইউক্রেনীয়দের সঙ্গে বৈষম্য করছে কিয়েভ। ইউক্রেনের সংবিধানের সঙ্গে এটি অসঙ্গতিপূর্ণ। তাদের সংবিধান সংখ্যালঘুদের ভাষার অবাধ ব্যবহারের নিশ্চয়তা দেয়। তবে তারা নিজেদের সংবিধান লঙ্গন করছে,’ যোগ করেন রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

রুশ ভাষাভাষী ইউক্রেনীয় ও অন্যান্য সংখ্যালঘুদের অধিকার রক্ষার কথা আগে থেকেই জানিয়ে আসছে রুশ কর্মকর্তারা। তাদের মতে, সংখ্যালঘুদের অধিকার রক্ষা ও নিরাপত্তা হুমকি দূর না হওয়া পর্যন্ত সামরিক অভিযান চলবে। এমনকি ইউক্রেনকে নিরস্ত্রীকরণ করতে চায় মস্কো।

এদিকে, বুধবার লাভরভের সুরেই কথা বলেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক আগ্রাসনের ব্যাখ্যা দিয়ে তিনি বলেছেন, ‘কিয়েভ রুশ ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও ভাষাভাষী ইউক্রেনীয়দের নির্মূল শুরু করেছিল। আমরা তখন অলসভাবে দাঁড়িয়ে থাকতে পারি না। ’

তিনি আরও বলেছেন, ‘তাদের ব্যবহার আমরা দীর্ঘ সময় ধরে সহ্য করেছি। একটি চুক্তিতে পৌঁছাতে চেষ্টা করেছি। তবে আমরা বার বার প্রতারিত হয়েছি। ’

news24bd.tv/মামুন