বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনের উপনির্বাচনে মহাজোটের প্রার্থী এ কে এম রেজাউল করিম তানসেনের কাছে মাত্র ৮৩৪ ভোটের ব্যবধানে হেরেছেন হিরো আলম। তিনি ১০ কেন্দ্রে ফলাফল পাল্টানোর অভিযোগ তুলেছেন। গণমাধ্যমে এটি দেখার পর প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল ফোন করে বিষয়টি খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছেন।
হিরো আলমের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মাহমুদ হাসানকে বৃহস্পতিবার টেলিফোনে এ নির্দেশ দেন সিইসি।
নির্বাচন কার্যালয় সূত্র জানায়, বুধবার বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনের উপনির্বাচনে মহাজোটের প্রার্থী এ কে এম রেজাউল করিম তানসেনের কাছে মাত্র ৮৩৪ ভোটের ব্যবধানে হেরে ১০ কেন্দ্রে ফল পাল্টানোর অভিযোগ তোলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিরো আলম। গণমাধ্যমে এটি দেখার পর সিইসি ফোন করে বিষয়টি খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেন।
বেসরকারিভাবে ঘোষিত ফল অনুযায়ী, কাহালু ও নন্দীগ্রাম উপজেলার মোট ১১২টি কেন্দ্রে মোট বৈধ ভোট পড়েছে ৭৮ হাজার ৫২৪টি। এর মধ্যে ২০ হাজার ৪০৫ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে জয়ী হয়েছেন এ কে এম রেজাউল করিম তানসেন (মশাল)।
এ বিষয়ে হিরো আলম বলেন, ‘নন্দীগ্রাম উপজেলার ৩৯টি কেন্দ্রের মধ্যে ১০টির ভোট না গণনা করেই ফলাফল ঘোষণা করেন নির্বাচন সংশ্লিষ্টরা। এই কেন্দ্রগুলো কতোগুলো ভোট পেলাম তা জানানো হলো না আমাকে। ’
জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা মাহমুদ হাসান বলেন, ‘হিরো আলমের ভোটের ফলাফল নিয়ে সিইসি ফোন দিয়েছেন। তিনি ফলাফল খতিয়ে দেখার কথা বলেছেন। এ জন্য আমরা বগুড়া-৪ আসনের সব কেন্দ্রের ফলাফল নির্বাচন কমিশনে পাঠিয়েছি। ’
তিনি আরও বলেন, ‘ইভিএম মেশিনে পড়া ভোটের হিসাব সঠিক আছে। আমরা হিরো আলমকেও কেন্দ্রভিত্তিক ফলাফলের কপি দিয়েছি। ’
news24bd.tv/ইস্রাফিল