সামনে ঈদ, কত কষ্ট কইরা মাল উঠাইছি ভাই। পাইকারি দোকান, এহনো বেচাকিনা শুরু হয় নাই। রিপন-শিপন এন্টারপ্রাইজ নামের আমার দুইটা দোকান। কালকেও দুই লাখ টাকার মাল উঠাইছি, গুছাইয়া সারি নাই। মালডি থুইয়া গেলাম তাড়াহুড়ায়, সব শেষ। ’
মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) বঙ্গবাজার মার্কেটে আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত রিপন ও শিপন এন্টারপ্রাইজের মালিক মো. ইউসুফ এভাবেই নিজের অসহায়ত্বের কথা জানান।
তিনি বলেন, যদি ৫টায় আগুন লাইগ্গা থাকে তারা (ফায়ার সার্ভিস) নাকি ৬টায় কাজ শুরু করছে। ওদের কাজের গাফিলতির জন্য আমরা শ্যাষ।
আরও পড়ুন : ‘সব শ্যাষ আমগো, আমরা নিঃস্ব হয়ে গেছি’
এর আগে এদিন ভোর ৬টা ১০ মিনিটে আগুন লাগার খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ডিউটি অফিসার রাফি আল ফারুক আগুন লাগার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, ভোর ৬টা ১০ মিনিটে বঙ্গবাজার মার্কেটে আগুন লাগার খবর পাওয়া যায়। সংবাদ পাওয়ার পর ফায়ার সার্ভিসের প্রথম ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছায় ৬টা ১২ মিনিটে। পর্যায়ক্রমে একের পর এক ইউনিট ঘটনাস্থলে যায়। সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ৫০টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে যোগ দেয়।
আরও পড়ুন : ‘ঘুম থেকে উঠে দেখব- আমার স্বপ্ন পুড়ে ছাই’
এদিকে বঙ্গবাজারের আগুন ছড়িয়ে পড়ে মহানগর শপিং কমপ্লেক্সে। সেই আগুনে পুড়েছে হেড কোয়ার্টারের ভেতরের চারতলা পুলিশ ব্যারাক ভবন।
সেসময় ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) যুগ্ম কমিশনার (অপারেশন) বিপ্লব কুমার জানান, পুলিশ হেড কোয়ার্টারের ভেতর পুলিশ ব্যারাকের চারতলা ভবনে আগুন লেগেছে। এতে ওই ভবনের সবকটি কক্ষ পুড়ে গেছে। ১১টা ১৫ মিনিটে জলকামান এসেছে। ফায়ার সার্ভিস পানি দিচ্ছে। ভবনটি মহানগর শপিং কমপ্লেক্স লাগোয়া। পরে প্রায় সাড়ে ৬ ঘণ্টা জ্বলে, কয়েকটি মার্কেটের কয়েকশ দোকান পুড়িয়ে অবশেষে নিয়ন্ত্রণে আসে বঙ্গবাজার মার্কেটের আগুন।
news24bd.tv/আলী