জয়পুরহাটে স্ত্রী-সন্তান হত্যায় স্বামীর মৃত্যুদণ্ড

প্রতীকী ছবি

জয়পুরহাটে স্ত্রী-সন্তান হত্যায় স্বামীর মৃত্যুদণ্ড

অনলাইন ডেস্ক

জয়পুরহাটে পৃথক দুইটি মামলায় স্ত্রী-ছেলেকে হত্যায় রেজাউল করিম ভাদু নামে একজনের মৃত্যুদণ্ড এবং মামাকে হত্যার দায়ে ভাগ্নের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এছাড়া মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা ও যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে এক বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।  

বৃহস্পতিবার (১৮ মে) দুপুরে অতিরিক্ত দায়রা জজ-২ আদালতের বিচারক আব্বাস উদ্দীন ও জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক সিনিয়র দায়রা জজ নুর ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন। আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট নৃপেন্দ্র নাথ মন্ডল রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- ক্ষেতলাল উপজেলার হাপানিয়া নয়াপাড়া গ্রামের ইব্রাহিম আলীর ছেলে রেজাউল করিম ভাদু ও সদর উপজেলার পশ্চিম পারুলিয়ার আব্দুর রহিমের ছেলে আলাউদ্দীন।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ক্ষেতলাল উপজেলার হাপানিয়া নয়াপাড়া গ্রামের রেজাউল করিম ভাদুর সাথে (২০০৫ সাল অনুযায়ী) ১৫/১৬ বছর আগে আঙ্গুরী বিবি ওরফে সোনাভানের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে স্ত্রী আঙ্গুরীর সাথে রেজাউল করিম ভাদুর বনিবনা ছিল না। এর জের ধরে ২০০৫ সালের ১৭ এপ্রিল রাতে তার স্ত্রী ও ৫ বছরের ছেলে হিটলারকে ধরালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ও জবাই করে হত্যা করে পালিয়ে যায় সে।

পালিয়ে যাওয়ার সময় বগুড়ার দুপচাচিয়া উপজেলা জিয়ানগর বাজাকে স্থানীয়রা তাকে আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে। এ ঘটনায় আঙ্গুরী বিবির ভাই বাদী হয়ে ক্ষেতলাল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

অন্যদিকে, ২০০১ সালের ১৮ মে রাতে সদর উপজেলার পারুলিয়া সাকিন এলাকার বাড়ি থেকে মামা আব্দুর রশীদকে গল্প করার জন্য বাহিরে ডেকে নিয়ে যায় যায় ভাগ্নে আলাউদ্দীন। সে রাতের কোনও এক সময় পূরানাপৈল রেললাইনের পাশে তাকে মারপিটের পর শ্বাসরোধে হত্যা করেন ভাগ্নে আলাউদ্দীনসহ অজ্ঞাত কয়েকজন। পরের দিন সকালে রেললাইনের পাশ থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করে জিআরপি পুলিশ। এ ঘটনায় ২৩ মে নিহতের স্ত্রী সান্তাহার জিআরপি থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এ পৃথক দুটি মামলার দীর্ঘ শুনানি শেষে আসামীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিজ্ঞ আদালত এ রায় দেন।

news24bd.tv/কেআই