পথশিশুদের আশ্রয়ের নামে দেহব্যবসা, হিজড়াসহ গ্রেপ্তার ৫ 

সংগৃহীত ছবি

পথশিশুদের আশ্রয়ের নামে দেহব্যবসা, হিজড়াসহ গ্রেপ্তার ৫ 

অনলাইন ডেস্ক

চট্টগ্রাম নগরীতে পথশিশুদের লালন-পালনের নামে নিয়ে গিয়ে অনৈতিক কাজে বাধ্য করার অভিযোগে শ্রাবন্তী নামে তৃতীয় লিঙ্গের একজনসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ মঙ্গলবার গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।   

গতকাল সোমবার চট্টগ্রাম নগরীর বন্দর থানার এছহাক ডিপোসংলগ্ন টোল প্লাজা বাইপাস রোডসংলগ্ন চায়ের দোকানের আড়ালে পেছনে থাকা একটি মিনি যৌনপল্লিতে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে ১৩ ও ১৪ বছর বয়সী তিন পথশিশুকে উদ্ধার করা হয়।

এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সঞ্জয় সিনহা।  

পুলিশ বলেছে, কুমিল্লার চান্দিনা থানার ভাগুরাপাড়ার কোরবান আলীর মেয়ে হিজড়া শ্রাবন্তী (৩৪) লালন-পালনের নামে পথশিশুদের নগরীর বিভিন্ন জায়গা থেকে সংগ্রহ করে তার পতিতালয়ে এনে আটক রেখে দেহ ব্যবসায় বাধ্য করেন।  

অভিযানে তার সহযোগী হিসেবে গ্রেপ্তাররা হলেন গাজীপুর শ্রীপুরের মৃত মকবুল হোসেনের ছেলে মো. আমির হোসেন (৩৫), ভোলা সদরের সিধু মাঝির ছেলে মো. জামাল (৫২), একই এলাকার ইয়াছিন ব্যাপারীর মেয়ে মিতু আক্তার কাজল (১৯) এবং বশির আহম্মদের ছেলে আব্দুল জলিল (৫৫)।  

এ বিষয়ে বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সঞ্জয় সিনহা  বলেন, ‘সোমবার এক শিশুর সন্ধানে তার অভিভাবকেরা আমাদের থানায় আসেন।

আমরা সোর্সের মাধ্যমে জানতে পারি শিশুটি শ্রাবন্তী হিজড়ার তত্ত্বাবধানে আছে। কিন্তু আমরা সেই শিশুকে উদ্ধার করতে গিয়ে সন্ধান পাই শ্রাবন্তীর মিনি যৌনপল্লির। ভুক্তভোগী ওই শিশুসহ মোট চার শিশুকে আমরা উদ্ধার করেছি। ’ 

ওসি আরও বলেন, ‘হিজড়া শ্রাবন্তী নগরীর টাইগারপাস ব্রিজ, রেলস্টেশন এলাকা থেকে ১৩-১৪ বছরের মেয়েদের লালন-পালনের কথা বলে নিয়ে যান। এ ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনে মামলা দায়ের করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। ’ 

বন্দর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) কিশোর মজুমদার বলেন, টোল রোডে হিজড়া শ্রাবন্তীর একটি চায়ের দোকান আছে। ওই চায়ের দোকানের পেছনে বাসায় চলে এই অনৈতিক কর্মকাণ্ড। সেখানেই বেশির ভাগ খদ্দের হিসেবে আসেন পরিবহনশ্রমিকেরা।

news24bd.tv/aa