কোর্ট সাংবাদিকদের জন্য মিডিয়া সেল করে দিলো ঢাকা জেলা প্রশাসন

সংগৃহীত ছবি

কোর্ট সাংবাদিকদের জন্য মিডিয়া সেল করে দিলো ঢাকা জেলা প্রশাসন

অনলাইন ডেস্ক

ভালো সংবাদ পরিবেশনের জন্য ভালো পরিবেশ প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান। বুধবার (১৪ জুন) দুপুরে ঢাকা জেলা প্রশাসনের মিডিয়া সেল উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন তিনি। এর আগে জেলা প্রশাসক লাল ফিতা কেটে এ সেলের উদ্বোধন করেন।

এসময় স্থানীয় সরকারের উপপরিচালক রফিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইটি) মমতাজ বেগম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এল.এ) পারভেজ চৌধুরী, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) কাজী হাফিজুল আমিন, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এ.কে.এম হেদায়েতুল ইসলাম, কোর্ট রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি হাসিব বিন শহিদ, সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান বলেন, এটি সরকারের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ জায়গা যেখানে ঢাকা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, পুলিশ সুপারের কার্যালয়, জজ কোর্ট, মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতসহ অনেক গুলো আদালতের অবস্থান। এ এলাকায় অনেক সাংবাদিক কাজ করেন। তাদের বসার কোনো জায়গা ছিল না। ভালো সংবাদ পরিবেশনের জন্য ভালো পরিবেশ প্রয়োজন।

আমাদের কাছে কোর্ট রিপোর্টার্স ইউনিটির (সিআরইউ) নেতৃবৃন্দ বসার জায়গার জন্য বলেন। যার আলোকে মিডিয়া সেল করা হলো এখানে। এ এলাকায় যারা কাজ করেন, কোর্ট রিপোর্টার্স ইউনিটির (সিআরইউ) সদস্যবৃন্দ যারা রয়েছেন সবাই এখানেই  বসবেন।  

মমিনুর রহমান বলেন, আমরা জেলা প্রশাসন এবং সাংবাদিকেরা এক সাথে কাজ করবো। আমাদের দেশে যে অভূতপূর্ব উন্নয়ন ও অগ্রগতি যে ধারায় বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, সেই ধারা যেন কেউ বাধাগ্রস্থ করতে না পারে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা স্বপক্ষের শক্তি যারা রয়েছেন তাদের অবদানের কারণে এ দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। এখনো এদেশে যারা এক সময় স্বাধীনতা, মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীতা করেছে সেই শক্তি কিন্তু প্রায় বিভিন্ন রকম অপচেষ্টা চালিয়ে থাকে।  

তিনি বলেন, আমরা চাই না- এ ঢাকা, পুরান ঢাকা বা বাংলাদেশের এই অঞ্চলকে কেন্দ্র করে কোনো ধরনের নেতিবাচক কোনো ঘটনা ঘটুক বা কোনো ধরনের আইন-শৃঙ্খলা বিঘ্ন হোক। আমরা সচেতন রয়েছি, কাজ করছি। প্রধানমন্ত্রী যে ভিশন ঘোষণা করেছেন ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ, সেই স্মার্ট বাংলাদেশটা যেন আমাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ভবিষ্যত প্রজন্মের হাতে তুলে দিতে পারি।